চট্টগ্রামের পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্রে ঈদ আনন্দের ভিড়

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০১৯, ১৭:০৩

এম হাশেম তালুকদার, চট্টগ্রাম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বছরের প্রায় সব সময় পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। ঘুরে বেড়ানোর জায়গারও কমতি নেই। এখন সেসব জায়গায় ঈদ আনন্দের ভিড়। ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামের পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লেগেছে নানা বয়সের মানুষের।

কাজীর দেউড়ি শিশুপার্ক, ফয়’স লেকের চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, সি ওয়ার্ল্ড, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের পাশে স্বাধীনতা পার্ক, ঐতিহ্যবাহী পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশুপার্ক, বিমানবন্দর রোডের বাটারফ্লাই পার্ক, আনোয়ারা উপজেলার পারকিচর সমুদ্রসৈকত এখন বিপুল দর্শনার্থীর পদচারণ আর আড্ডায় সরগরম।

শিশুদের আনন্দ বিনোদনের জন্য কর্ণফুলী শিশুপার্ক ও কাজীর দেউড়ি শিশুপার্কে উপচে পড়া ভিড়। নতুন কোনো রাইড যোগ না হলেও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পার্কগুলো। ঈদের ছুটিতে বাড়তি দর্শনার্থীর চাপ সামলানোর জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত খণ্ডকালীন কর্মচারী। শিশুদের পাশাপাশি রাইডগুলোতে বড়রাও চড়ছে সমানতালে।

সকাল থেকে বেলা চড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুরের পর দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের পার্কগুলো ভরে ওঠে শিশুদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষে। খেলনা ট্রেন, ম্যাজিক নৌকা, আনন্দ ঘূর্ণি, ঝুলানো চেয়ার, ফুলদানি আমেজ, উড়ন্ড নভোযান- রাইডগুলো ঘিরে ছিল শিশুদের উচ্ছ্বাস।

এমনিতে প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে শিশুপার্ক খোলা হলেও ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে চট্টগ্রামের পার্কগুলো।

ময়মনসিংহের রিয়াজউদ্দিন খান এবার ঈদ করেছেন চট্টগ্রামের লালখান বাজার এম আর সিদ্দিকী রোড়ের বাসায়। তিনি বলেন, তার তিন ছেলেমেয়ে ঐতিহ্যবাহী কাজির দেউরী শিশুর্পাকে যাওয়ার জন্য সকালে বায়না ধরে। ছেলেমেয়েদের আনন্দই তো নিজের আনন্দ। তাই চলে এলেন তাদের নিয়ে।

ঈদে ফয়’স লেক চিড়িয়াখানার গেট দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয়েছে সকাল ৯টায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এখানে নানা বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। আজ শুক্রবারও একই পরিস্থিতি।

ফয়’স লেক বিনোদন স্পটের কর্মকর্তা রায়হান চৌধুরী জানান, ঈদের দিন বিকাল থেকে এখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। ভিড় রয়েছে এখানকার ওয়াটার পার্কেও। হাজার হাজার মানুষ টিকিট কেটে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছে।

প্রবেশ টিকিট কাটতে হয় না পতেঙ্গায়। সমুদ্রের গর্জন আর ঢেউয়ের বিশালতা উপভোগের জন্য উপচেপড়া ভিড় এখন পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে। সমুদ্রপাড়ের দোকানগুলোতে ঈদ উপলক্ষে রয়েছে বিশেষ আয়োজন। শামুক ও ঝিনুকের তৈরি মালা ও শো পিসের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। এমনিতে প্রতিদিন গড়ে ২০০-৩০০ টাকার শো পিস বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার টাকার শো পিস।

পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের অদূরে নেভাল একাডেমির আশপাশেও বসেছে দর্শনাথিদেরে মিলনমেলা। বিভিন্ন গাড়ি নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। একই এলাকায় বাটারফ্লাই পার্কেও চলছে ঈদ-উৎসব। এখানেও দেখা গেছে শিশুদের ভিড়। নানা রঙের, নানা প্রজাতির অসংখ্য প্রজাপতির ভিড়ে পার্কজুড়ে ছোটাছুটি করছে শিশুরা। পিছিয়ে নেই বড়রাও।

(ঢাকাটাইমস/৭জুন/মোআ)