উলিপুরে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, হুমকির মুখে কয়েকশ একর জমি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উলিপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন। তীব্র নদী ভাঙনে ঈদের আনন্দ নেই নদীপাড়ের মানুষের।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলকন্ঠ, হাতিয়ার গ্রাম ও নয়াডারা গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই সাথে আবাদি জমি বসতভিটা ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হচ্ছে। তাছাড়া কয়েকশ একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। এসব ভিটেমাটি যে কোন মুহূর্তে নদীর পেটে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
ওই এলাকার বাসিন্দা নবীর হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিনের নদী ভাঙনে ছামাদ, ভেল্লা আজিত, হায়দার আলীরসহ কয়েকটি বসতভিটা ও কমল পালের তিন একর, অপিজল মেম্বারের দুই একর, রুহল আমিন মাস্টারের দুই একর, বিমল পালের দুই একর, ভবেশ পালের দুই একর, নজির হোসেনের পাঁচ একরসহ ২০ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও একাধিক কৃষকের পাটক্ষেতসহ এলাকার কয়েকশ একর ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।’
আওয়ামী লীগ হাতিয়া ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন ও হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘নীল কণ্ঠ গ্রামের নদী ভাঙন রোধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে নীল কন্ঠ গ্রামের কোন চিহ্ন থাকবে না। নদী ভাঙন রোধে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন।’
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, ‘জরুরি প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর ভাঙন রোধ করা না হলে ওই এলাকার বসতবাড়ি ও কয়েকশ আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যাবে। সেই সাথে হাতিয়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি ভাঙন কবলে পড়বে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের জানান, ‘বিষয়টি দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হবে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোডের্র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জরুরি প্রকল্পের জন্য অর্থ চাহিদা প্রেরণ করা হবে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
(ঢাকাটাইমস/৭জুন/এলএ)