গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে উপচেপড়া ভিড়

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০১৯, ২২:১৯

ঈদের ছুটিতে সপরিবার, বন্ধু-বান্ধবসহ হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। নাগরিক ব্যস্ততা আর ইট-পাথরের জঞ্জাল থেকে মুক্ত হয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে তারা এসেছেন শাল-গজারিবেষ্টিত এই সাফারি পার্কে। প্রাকৃতিক পরিবেশ আর প্রাণীদের অবাধ বিচরণে মুগ্ধ এখানকার দর্শনার্থীরা।

পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, দর্শনার্থীদের বিনোদন দেয়ার জন্য তারা সব ধরনের চেষ্টা করছেন। নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা। সাফারি পার্ক ছাড়াও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, নন্দনপার্কসহ শতাধিক রিসোর্ট, বিনোদন কেন্দ্রে ছিল বিপুলসংখ্যক মানুষের আনাগোনা।

শ্রীপুর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। থাইল্যান্ডের সাফারি পার্কের আদলে এটিকে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিদিন এখানে ৫-৬ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটলেও ঈদের ছুটিতে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের তৃতীয় দিনে অন্তত ২০ হাজার দর্শনার্থী এসেছে এই পার্কে। শুক্রবার হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ সকল দর্শনার্থী ভিড় জমায় পার্কে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দর্শনার্থীর বেশি ভিড় ছিল কোর সাফারি পার্কে। এখানে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণ, জিরাফ ইত্যাদি আলাদা আলাদা সীমানা প্রাচীরের ভেতর উন্মুক্তভাবে বিচরণ করে। এসব প্রাণী দেখতে দর্শনার্থীদের পার্কের নির্ধারিত মিনিবাসে চড়ে যেতে হয়। তবে লোক সমাগম বেশি থাকার কারণে এ অংশে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন। দর্শনার্থীদের কোর সাফারি পার্ক দেখার জন্য এখানে আটটি মিনিবাস রয়েছে। প্রতিটি মিনিবাসে গড়ে ৩০ জন যাত্রী যেতে পারেন। আর বাসে কোর সাফারি দেখতে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে ঈদে অতিরিক্ত দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনা করে কোর সাফারি পার্কে একই রকম আরও দুইটি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে গাড়ির আসন অনুযায়ী, দর্শনার্থীরা সুযোগ পান। ফলে লোক সমাগম বেশি হলে দর্শনার্থীদের অপেক্ষা করতে হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি মূলত পাঁচটি অংশে বিভক্ত। কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, এক্সটেনসিভ এশিয়ান সাফারি পার্ক ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। পার্কের কোর সাফারি অংশে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণ, জেব্রা, জিরাফ, বিস্ট ছাড়াও পার্কে আরও রয়েছে ময়ূর, ধনেশ, ক্রাউনড ফিজেন্টসহ দেশি-বিদেশি নানা জাতের পাখির পাখিশালা, প্রজাপতি কর্নার, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র, মেরিন একুরিয়াম, ইমু গার্ডেন, ময়ূর/মেকাউ ওপেন ল্যান্ড, লেকজোন ও কুমির পার্ক।

দর্শনার্থীরা বলছেন, কোর সাফারিতে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণ, জেব্রা দেখতে পেয়ে তারা বেজায় খুশি। তবে লোক সমাগম বেশি থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে হয়েছে তাদের। এছাড়া বাইরে থেকে খাবার নিতে না দেয়ায় বেশি দামে পার্কের ভেতরে খাবার কিনতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

তিন হাজার ৮১০ একর জমি বিস্তৃত পার্কটির অবকাঠমোগত সুবিধা বাড়ালে এ পার্ক থেকেই বিপুল রাজস্ব আদায় হতে পারে বলে মনে করছেন আগত দর্শনার্থীরা।

পার্কের রেঞ্জার আব্দুল মোতালেব জানান, এবারের ঈদে দর্শনার্থীদের বিনোদন ও তাদের নিরাপত্তায় পার্কের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি দেয়া হয়নি। ঈদে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পার্কের নিজস্ব কর্মী ছাড়াও ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।

(ঢাকাটাইমস/৭জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :