ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০১৯, ১০:৫২ | আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯, ১০:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

১৪ বছরের এক কিশোরীর বিয়ের আয়োজন চলছিল পুরোদমে। কিন্তু বিয়ের কাজ শেষ করতে পারেনি অভিভাবকরা। গোপনে খবর পেয়ে রাতেই কনের বাড়িতে হাজির হন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে বন্ধ করে দেন বাল্যবিয়ে। এছাড়া ১৮ বছর হওয়ার আগে বিয়ে না দেয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের কাছ থেকে নেন মুচলেকা।

শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএফএম ফিরোজ মাহমুদ নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেন।

ফিরোজ মাহমুদ জানান, উপজেলার উথলী ইউনিয়নের কৃঞ্চদিয়া গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের প্রস্ততি চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশসহ ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার বিষয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন তিনি।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর ও হরিরামপুরে আরও তিন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে চার বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৮জুন/বিইউ/এমআর)