নেত্রকোণায় পোশাককর্মীকে ‘গণধর্ষণ’, তিনজন গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০১৯, ১৭:১৬ | আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯, ১৭:১৮

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকের সামনেই এক নারী গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার তিনজনই এই নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকে উধাও প্রেমিক সুমনকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দুয়া-মদন সড়কের কেন্দুয়া উপজেলার  কুন্ডলী এলাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভুইয়ার শাপলা ইটখলায় ধর্ষিতা হন প্রায় ৩০ বছরের এই নারী।তিনি গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। নারীর বাবার বাড়ি-কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নে। তিনি ঈদের ছুটিতে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় মামলা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হচ্ছেন- কেন্দুয়া উপজেলার বৈরাটি গ্রামের টিপু, আজিজুল ও আমীর হামজা। তারা একজন অরেকজনের বন্ধু। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে।

তাদের জেলার মদন, ময়মনসিংহের গৌরিপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান,কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান।

ওসি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানাভাবে জাল পেতে প্রথমে শুক্রবার রাতে টিপুকে ধরা হয়। পরে শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার  দিকে গ্রেপ্তার করা হয় আজিজুল ও আমীর হামজাকে। গ্রেপ্তার তিনজনই জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। থানায় ধর্ষিতা নারীও টিপু, আজিজুল ও আমীর হামজাকে শনাক্ত করেছেন। তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।

ওসি আরো বলেন, ওই নারীর প্রেমিক ও কথিত স্বামী সুমনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রুতই তাকে ধরা সম্ভব হবে বলে জানান ওসি।

ঘটনার পর শুক্রবার ওসি রাশেদুজ্জামান ধর্ষিতার বরাত দিয়ে জানিয়েছিলেন, বেশ কয়েক বছর আগে ময়মনসিংহের আঠারবাড়ি এলাকার এক ছেলের সাথে ওই নারীর বিয়ে হলেও তা ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। একটি পুত্র সন্তান রয়েছে নারীর। গত তিন বছর ধরে সুমনের সাথে গাজীপুরেই পরিচয় থেকে প্রেম হয়। পরে মৌখিকভাবে বিয়ের সূত্রে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চলতেন। কিন্তু কখনই সুমনের বাড়িতে যাননি বা সুমনের আত্মীয়-স্বজনের সাথেও ওই নারীর পরিচয় হয়নি। এমনকি সুমনের কোন ছবিও ওই নারীর কাছে নেই। বৃহস্পতিবার মোটরবাইকে চড়ে সুমনের সাথে বেড়ানোর এক পর‌্যায়ে ইটখলাটির কাছে মোটরসাইকেল থামান সুমন। এ সময় অন্য দুইজনের সাথে তারা ইটখলায় যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে অন্ধকার হয়ে আসলে সুমনকে আটকে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করে দুইজন। পরে সুমনসহ নারীকে ছেড়ে দিলে সুমনও পালিয়ে যায়। নারীটি সেখান থেকে একটি রিকশায় চড়ে থানায় এসে ঘটনা জানান। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এই গণধর্ষণের ঘটনায় নারীর কথিত স্বামী সুমনও জড়িত। রাতেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৮জুন/এলএ)