দূরে থাকলেও ঈদে চিন্তিত ছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ জুন ২০১৯, ১৭:৫৪

এবারের ঈদুল ফিতরে দেশের বাইরে থাকলেও দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘ঈদের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে হুমকি আসতে থাকে। গোয়েন্দারা এসব নিয়ে কাজ করেছে। আমি দূরে থাকলেও ঈদের নামাজের সময় চিন্তিত ছিলাম। এ ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। সুন্দরভাবে নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। নামাজ শেষ হওয়ার পরই আমার কাছে ম্যাসেজ গেছে। জানতে চেয়েছি কোথায় কী অবস্থা। কারণ শোলাকিয়াতে যা হয়েছিল সেটা তো সবাই জানে।’

রবিবার বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্প্রতি তিন দেশ সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জাপান সফর সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে আমাদের সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অনেক অবদান আছে তাদের। তাদেরকে আমরা বন্ধু হিসেবে মনে করি। জাপানের সবকিছুই দেখতে সুন্দর লাগে। দুঃসময়ে তারা পাশে ছিল। বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের অনেক আগ্রহ আছে। আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। লক্ষ্য একটাই মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন।’

জাপান সফরে রোহিঙ্গা নিয়ে কথা হয়েছে। সামনে চীনে সফর করবেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাপানের মতো চীনেও সফল হব। আগামী জুলাই মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট দাওয়াত দিয়েছেন। সামার সামিটেরও দাওয়াত পেয়েছি। দেখি কবে যাওয়া হবে সেটা ঠিক করা হবে। দাওয়াত এত বেশি তাহলে দেশে থাকবো কখন। আর কত যাবো বুড়া হয়ে গেছি না!’

‘রোহিঙ্গার ব্যাপারে সবাই চায় তারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। কিন্তু মিয়ানমার তাদের নিতে চায় না। যোগাযোগও আছে তাদের সঙ্গে। কিন্তু এরা আগ্রহী নয়। সবাই মিলে দেখা যাক কী করা সম্ভব হয়। কিন্তু এত লোক রাখা মুশকিল।’

নিউজিল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের মতো আগামী বাজেটে কল্যাণ বাজেট দেয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না আর এসব ক্ষেত্র নিয়ে কী চিন্তা আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড বলেন আর ফিনল্যান্ড বলেন তাদের জনসংখ্যা আর আমাদের জনসংখ্যা দেখতে হবে। তুলনা করলে এসব বিষয়ও চিন্তা করতে হবে। তারপরও আমরা শিশু ও নারী মৃত্যুর হার কমিয়েছি। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি।’

‘বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। বাজেটে অবশ্যই এসব বিষয় থাকবে। আমরা মেয়েদের বৃত্তি দিচ্ছি, যা মোবাইলের মাধ্যমে মায়ের কাছে চলে যায়। যে মা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে তাকেও আমরা ভাতা দিচ্ছি। দরিদ্রদের প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দিচ্ছি। প্রতিবন্ধীদের ভাতা দিচ্ছি। এদের পরীক্ষায় সময় বাড়িয়ে দিচ্ছি।’

(ঢাকাটাইমস/০৯জুন/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :