প্রসঙ্গ: বামিংহামে মৌলভীবাজারী মিলন মেলা

সাহিদুর রহমান সুহেল, বার্মিংহাম থেকে
 | প্রকাশিত : ১০ জুন ২০১৯, ১৭:৪৪

বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক চৈতন্যদেবের পূবপুরুষেরা ছিলেন সিলেটের আদি বাসিন্দা ।শ্রীচৈতন্য এখানে এসেছিলেন ঠাকুরমাকে দেখতে ।লীলাচছলে কীর্তন করতে করতে মিলিয়ে গেলেন বলে লোকের বিশ্বাস ।জাতিভেদ,কুসংসকার আর অসাম্যের বিরুদ্ধে ভক্তি আর ভালোবাসার উওাপ ছড়িয়ে গেছেন শ্রীচৈতন্য ।এ আলোর বিভা পাওয়া যায় সিলেট অঞ্চলের মানুষের মধ্য ।চারটি জেলা নিয়ে সিলেট বিভাগ অনুষ্ঠিত ।এ চারটি বিভাগের মানুষের ঐতিহ্যের অনেক অহংকার রয়েছে । সিলেট বিভাগের লোকজনের সম্পর্ক,সহানুভূতি আর সৌজন্যের জন্য বিখ্যাত ।সামাজিকতা আর সৌহাদ্য আমরার বাপ-দাদার ঐতিহ্য। এসব দেখে আমাদের বেড়ে ওঠা ।ঐ স্বাধে-বর্নে -গন্ধে আমাদের পুর্ব পুরুষেরা বিলেতেও বসতি গড়বার পর থেকে বৃহওর সিলেট এক এবং অভিন্নতার বাস্তব উদাহরণ আজ হয়ে গেলো ৫২ সালে প্রতিষ্টিত সংগঠন মৈালভীবাজার জেলা জনকল্যান কাউন্সিল মিডল্যানডস ৬৭ বছর পূতি উপলক্ষে মৌলভীবাজারী মিলন মেলা ।একটি মিলন মেলার পরিপূণতা পেতে যতটা উপাদান দরকার তার কোন কিছুর কমতি ছিলনা ।অনুষ্টানের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে স্হানীয়রা সহ হল ভর্তি নানান শহরের মানুষের ঢল ।জায়গা সংকোলন নিয়ে আয়োজকদের হিমশিম খেতে হয়েছে ।

বরাবরের মতো অনুষ্টান শুরুর সময় বাংলাদেশী টাইম রয়ে গেলো ।কোরআনের তেলাওয়াত থেকে সংগঠনের পরিচিতি পর্যন্ত অনুষ্টান চমৎকার ছিল ।তার পর স্টেজ তার মান রক্ষায় জৌলুস হারিয়েছে ।ঘোষনার সাথে বিষয়ের মিল খুঁজা ছিল দুস্কর !কারন স্টেজে প্রবেশ ছিল উন্মুক্ত ।উপস্তাপক রিয়াদ ভাইর পাশে সহ-উপস্হাপিকা বড় অসহায় লেগেছে ।বারমিংহামের অন্য জেলা-উপজেলার লোকজন ব্যাতিত বাকি সবাই স্টেজে অবতরন এবং কথা বলার সুযোগ কিছুটা বিরক্ত ছিলেন অনেকেই ।আয়েজকরা বেশীর ভাগ সময় স্টেজের আশে-পাশে না থেকে দুর-দুরান্ত থেকে আগত অতিথির পাশে থাকলে মিলন মেলার মিলন আরো গভীর হতো ।

এসব কিছুকে ছাপিয়ে অনেকের মুখে যখন শুনলাম বীমিংহামে এ যাবত কালের সর্ব বৃহত মেলা,একজন বারমিংহামবীসী হিসাবে গর্ববোধ করি ।অনুষ্টানে পূর্বসুরী,পূবসুরীর নাতী-নাতনীর হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া এবং মৌলভীবাজারের গুনীজনদেরকে আমাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উপস্হিত সবাইকে বিমোহিত করেছে ।সর্বসাকল্যে বলতে পারি আমার দেখা অন্যতম সফল এবং সেরা একটি অনুষ্ঠান ।

তবে বরাবরের মতো আমি কিছুটা হতাশ আমাদের স্হানীয় লোকের উপস্হিতি নিয়ে ।এটা আমাদের বেলায়ও হয় ।তবে যাদের উপস্হিতি নিয়ে পরিপূর্ন বামিংহাম হয় মোটামুটি এরা সবাই উপস্হিত ছিলেন ।মৌলভীবাজারের একটি পক্ষের মিলন মেলা নিয়ে অসন্তুষ্টির সংবাদ সন্মেলন যুক্তিকতা নিয়ে অনেকের মতো আমিও সন্ধিহান ।আমি অতীতে দেখেছি বাংলা ভয়েস পএিকায় বামিংহাম হাইকমিশনে দাওয়াত না পাওয়ায় পএিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে ।প্রিয় বামিংহামের নেতারা আপনারা সার্বজনীন নিরাময় হোন ।আমরা আপনাদের ঊওোসূরী হতে চাই ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :