ধর্ষণের অভিযোগ, বিধায়কের বিয়ে

প্রকাশ | ১১ জুন ২০১৯, ১৩:১৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

কয়েক সপ্তাহের আইনি ও রাজনৈতিক চাপের মুখে অবশেষে হার মানলেন ভারতের ত্রিপুরার বিধায়ক ধনঞ্জয়। তার বিরুদ্ধে যে মহিলাকে ধর্ষণ ও ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তাকেই বিয়ে করলেন তিনি।

ত্রিপুরার রাইমা ভ্যালি কেন্দ্রের বিধায়ক ২৮ বছরের ধনঞ্জয় সোমবার নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আগরতলায় চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে আমি মেয়েটিকে বিয়ে করেছি’। মেয়েটিও জানিয়েছেন, তিনি বিধায়কের উপর থেকে সব অভিযোগ তুলে নিয়েছেন।

২০ মে ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মেয়েটি। তিনি জানান, ২০১০ সালে যখন তার সঙ্গে কলেজ ছাত্র ধনঞ্জয়ের প্রথমবার দেখা হয় তখন তিনি স্কুলে পড়েন। বছর খানেকের মধ্যেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বহুবার ধনঞ্জয়ের বাড়িতেও তিনি গিয়েছেন বলে দাবি করেন মেয়েটি।

তার দাবি, ধনঞ্জয় তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মেয়েটির কথায়, ‘আমাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়, কিন্তু আমি জানতামই না যে ও সম্পর্কটা অস্বীকার করবে।’

বিষয়টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমে ২০১৭ সালের মার্চে তাদের বিয়ে ঠিক হয়। তবে বিধানসভা ভোটের কারণে বেশকয়েকবার বিয়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে ধনঞ্জয় বিধায়ক হওয়ার পর থেকে মেয়েটির সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ ছিন্ন করেন বলে অভিযোগ।

এরপরও বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে ধনঞ্জয়ের পরিবার ৮ লাখ টাকা পণ দাবি করেন বলে জানিয়েছে মেয়েটি। অবশেষে কোনো উপায় না-পেয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। গত সপ্তাহে ধনঞ্জয়ের আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় ত্রিপুরা হাইকোর্ট। কেন বিয়েটা হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে রিপোর্টও দিতে নির্দেশ দেয়। এরপরই চাপের মুখে মেয়েটিকে বিয়ে করেন বিধায়ক।

ঢাকা টাইমস/১১জুন/একে