এমপি লিটন হত্যায় কাদের খানের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ১১ জুন ২০১৯, ১৪:৪৭

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ব্যবহার করা অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে  সাবেক সংসদ সদস্য (অব.) কর্নেল ডা. আব্দুল কাদের খানকে পৃথক দুটি ধারায় একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপরটিতে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে গইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এই রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামির উপস্থিতিতেই আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

শফিকুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে লিটন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি (অব) কর্নেল ডা. আব্দুল কাদের খানকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আছেন।

২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কাদের খানকে বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির উঠানে মাটির নিচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।
এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় তিনটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র কাদের খান নিজে থানায় জমা দিয়েছেন। দ্বিতীয় অস্ত্রটি আব্দুল কাদের খানের গ্রামের বাড়ি ছাপরহাটি থেকে উদ্ধার করা হয়। আর তৃতীয় অস্ত্রটির সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়ি সুন্দরগঞ্জের সাহাবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি নিহতের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলি বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত গুলিভর্তি পিস্তল উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্রআইন মামলায় সুন্দরগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা করে পুলিশ। হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কাদের খানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

ঢাকাটাইমস/১১জুন/প্রতিনিধি/এমআর