কৃষককে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের সুপারিশ সিপিডির

প্রকাশ | ১১ জুন ২০১৯, ১৮:৪৮

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ধানের আশানুরূপ দাম না পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী ১ কোটি ৮০ লাখ কৃষকের ব্যাংক হিসাবে এই টাকা সহজে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অর্থনৈতিক পর্যালোচনা এবং আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গ তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ করে সিপিডি।

সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, সম্প্রতি কৃষকদের প্রতি অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। শিল্প ও কৃষির মধ্যে যে বাণিজ্যস্বত্ব থাকে, তা কৃষকের বিপরীতে গেছে। এটা যদি অব্যাহত থাকে আগামী দিনে বাংলাদেশে কৃষকদের টিকে থাকা খুবই কঠিন হবে। তাই কৃষকের বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, কোনো কোনো রপ্তানি খাত ঢালাওভাবে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দাবি করছে। এটা দিলে সরকারের বাড়তি ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে। ফলে রপ্তানি খাতে মোট ভর্তুকি দাঁড়াবে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। তিনি বলেন, কৃষক অবশ্যই একটা আর্থিক ভর্তুকি দাবি করতে পারে। আমি কৃষককে ৯ হাজার কোটি টাকা দিতে কোনো সমস্যা দেখি না। অর্থনীতিতে তা যুক্তিযুক্ত ও সাম্যবাদী আচরণ হবে।

সিপিডির অর্থনৈতিক পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান। তিনি এবারের ধানের দাম নিয়ে আলোচনা করেন। তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে। তিনি বলেন, হঠাৎ কৃষি খাতে মজুরিও বেড়ে গেছে। এটা সামাল দিতে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সংলাপ পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফসহ গবেষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/ জেআর/মোআ)