যশোরে ‘অন্তঃস্বত্ত্বা’ স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামে সুমাইয়া খাতুন নীলুফা নামে দুই মাসের ‘অন্তঃস্বত্ত্বা’ এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়।

সে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

নিহতের খালা তাসলিমা বেগম বলেন, ‘সকালে ঘরের মধ্যে নীলুফাকে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপর পুলিশে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, পাঁচবাড়িয়া এলাকার রায়হান নামে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি মেয়েটি তাকে বিয়ের কথা বললে সে প্রত্যাখ্যান করে। সেকারণে সে অাত্মহত্যা করতে পারে। মৃত্যুর আগে সে একটি চিঠি লিখে গেছে। চিঠিতে সে লিখে গেছে, ‘সত্যি বলছি, আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না। তাই সবাইকে ছেড়ে যাচ্ছি। আম্মু আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি। আমার মৃত্যুর একমাত্র কারণ হলো রায়হান।’

যশোর উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতালে আনি। মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা ছিল কিনা- তা ডাক্তাররাই বলতেই পারবেন। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, নীলুফার যখন বয়স ছয় মাসের মতো, তখন তার বাবা নূর আলমের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় মা নূরজাহানের। এরপর তিনি রাজু নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। এই সংসারে থেকেই সে লেখাপড়া করত।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/এলএ)