সেই প্রতিবন্ধীকে দুইশো হাঁসের দাম দিলেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ | ১১ জুন ২০১৯, ২৩:৫৪ | আপডেট: ১১ জুন ২০১৯, ২৩:৫৮

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় অন্যের ধানক্ষেতে খাবার খাওয়ার পর মরে যাওয়া ৪১৩টি হাঁসের মালিক শারীরিক প্রতিবন্ধী আবুল কাশেমের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। খামারীকে দুইশো হাঁস কেনার টাকা দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমদ খান।

মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই খামারীর হাতে আটাশ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। 

সোবায়েল আহমদ খান জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের সাথে কথা বলে তিনি এই সহায়তা করেছেন।

এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামের হতদরিদ্র আবুল কাশেম। শারীরিক প্রতিবন্ধী কাশেম ভাই কায়িক শ্রমের কাজ করতে পারেন না বলেই মোটা সুদে ঋণ করে হাঁসের খামার করেছিলেন ভাগ্য ফেরানোর আশায়। বিধি বাম! দুর্বৃত্তদের প্রয়োগ করা বিষে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তার বেঁচে থাকার

অবলম্বন প্রায় ৮০০ হাঁস!’ ‘আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার অসহায় আবুল কাশেম ভাইয়ের পাশে দাঁড়াব। সারা দেশের লাখো লাখো ছাত্রলীগ কর্মীর মাঝে আমরা ৮০০ কর্মী যদি একটি করে হাঁসের দায়িত্ব নেই, কাশেম ভাইয়ের পরিবার আবার বাঁচার অবলম্বন পাবে।’

‘আমি আজ কথা বলেছি তার সাথে, ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে কাশেম ভাইয়ের পাশে থাকবো। দ্রুতই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে ৮০০ হাঁস কিনে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।’ 
উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামের হাঁসের খামার মালিক আবুল কাশেম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানীর সাথে কথা হয়েছে। তারা আমাকে হাঁস কিনে দেবেন বলেছেন।

আবুল কাশেম জানান, ৯ জুন রবিবার সকালে প্রতিদিনের মতো তার ১৭ শ হাঁসকে তার খামারে খাবার দেয়ার পর হাওড়ে খাবার খেতে ছাড়া হয়েছিল।  খামার থেকে বেরিয়ে পাশেই অন্যের একটি পরিত্যক্ত ধান

ক্ষেতে কিছুক্ষণ খাবার খেয়েছে অধিকাংশ হাঁস। খাবার খাওয়ার কয়েক মিনিট পরেই হাঁসগুলো মারা যেতে শুরু করে।  এসব হাঁসের দেয়া ডিমের উপার্জনে শারীরিক প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম সংসার চালাতেন বলে জানান তিনি।। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শাহজাহান মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মত তিনি খামারে হাঁসগুলোকে খাবার দেন। পরে হাওরের জমিতে নামার পর একে একে হাসগুলো মারা যেতে থাকে। এ নিয়ে তানায় জিডি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে শত্রুতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঢাকাটাইমস/১১জুন/ইএস