‘জিং’ বেলেই আস্থা আইসিসির

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৯, ১৭:৩৬

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথম দেড় সপ্তাহের খেলা অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু উপভোগ্য ম্যাচের সাক্ষী হয়েছেন তামাম ক্রিকেট অনুরাগীরা। কিন্তু যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া ক্রিকেটের মজা নেওয়ার পথে যেমন অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনুরাগীদের জন্য, তেমনই আরও একটি বিষয় বিশ্বকাপের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। অবশ্যই সেটি ক্রিকেটে নয়া প্রযুক্তির ‘জিং’ বেল।

মঙ্গলবার ব্রিস্টলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় এখনও অবধি ৩টি ম্যাচ ‘নো-রেজাল্ট’ হয়ে রইল। সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর ফের এদিনের ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে ক্রিকেট অনুরাগীদের। পাশাপাশি ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর থেকেই বিশ্বকাপে ব্যবহার হওয়া ‘জিং’ বেল নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রীড়াপ্রেমীরা। শুধু ক্রীড়াপ্রেমীরাই নন, ক্যাঙ্গারু ‘বধে’র পর বেল নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছিল আধুনিক প্রযুক্তি সরিয়ে ফিরিয়ে আনা হোক হেরিটেজ উডেন বেল। কিন্তু সেই বিতর্কে জল ঢেলে বিশ্বক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সাফ জানিয়ে দিল, বিশ্বকাপের মাঝপথে কোনওমতেই বেল পরিবর্তন সম্ভব নয়।

রবিবারের ম্যাচে ভারতের পাহাড় সমান লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে জসপ্রীত বুমরাহর প্রথম ওভারের প্রথম বলেই প্লেড হতে গিয়ে বেঁচে যান অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। বল জুতোয় লেগে গড়িয়ে উইকেটে লাগলেও বেল না পড়ায় বা আলো না জ্বলায় জীবণ ফিরে পান তিনি। টুর্নামেন্টের চতুর্দশ ম্যাচে এসে বল উইকেটে লেগেও বেল না পড়ার পঞ্চম ঘটনা ছিল সেটি। স্বভাবতই টুর্নামেন্ট শুরুর স্বল্প কয়েকদিনের মধ্যে বারংবার এমন ঘটনায় ম্যাচ শেষে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অজি দলনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। বেল পরিবর্তনের দাবিতে সুর চড়ানোর তালিকায় আরও দুই নাম মাইকেল ভন ও নাসের হুসেন। জেন্টলম্যান’স গেমের স্বচ্ছতা ও স্পিরিট বজায় রাখতে পুরনো কাঠের বেল ফিরিয়ে আনার দাবি জানান দুই প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক।

কিন্তু প্রাক্তনদের সেইসব দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে তাঁদের মতামত জানিয়ে দিল বিশ্বক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তাঁরা জানায়, ‘টুর্নামেন্টের মাঝপথে আমরা কিছু পরিবর্তনের পক্ষে নই। এতে ইভেন্টের অখন্ডতা নষ্ট হবে। ৪৮টি ম্যাচে ১০ দলের জন্য একই উপকরণ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে আইসিসি’র যে কোনও টুর্নামেন্টে এই জিং বেলই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।’ তবে এই বেল যে বারবারই বোলারদের হতাশ করে ব্যাটসম্যানদের সহায়ক হয়ে উঠেছে, সেই ঘটনা মেনে নিয়েছে বিশ্বক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা।

(ঢাকাটাইমস/১২ জুন/এসইউএল)