ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পুনঃ তদন্তের আদেশ
মতিঝিলস্থ ওয়েজ অনার্স করপোরেট শাখার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এ এস এম কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার পুনঃতদন্তের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
একই অফিসের এক সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগের ওই মামলায় বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম শামসুন নাহার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনফেন্সিগেশনকে (পিবিআই) ওই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে মামলাটি নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের ইন্সপেক্টর মোসা. রোজিনা বেগম তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে গত ১৬ মে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার নারাজী দাখিল করেন ভিকটিম ধর্ষিতা বাদিনী। ট্রাইব্যুনাল ওই নারাজি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ভিকটিম বাদিনী বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ইচ্ছা করে আসামি গ্রেপ্তার করেন নাই। তিনি অবৈধ সুবিধা নিয়ে তড়িঘরি করে মাত্র এক মাসের মধ্যে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছে^ন। তিনি তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও ব্যাংককেও যাননি। সঠিকভাবে তদন্ত হলে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হতো বলেও বাদিনী জানান।
চলতি বছর ৪ এপ্রিল ভিকটিম রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, মতিঝিলের ওয়েজ আর্নার্স করপোরেট শাখায় চাকরির সুবাদে একই শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এ এস এম কামরুল হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে ওই পরিচয়ের সুবাদে আসামি বাদিনীর ফেসবুকে এড হয় এবং তাদের মধ্যে চ্যাটিং ও বন্ধুত্বসুলভ কথাবার্তা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে মর্মে জানিয়ে বাদিনীকে প্রেমের প্রস্তাবসহসকু-প্রস্তাব দেয়। বাদিনী রাজী না হলেও আসামি বাদিনীকে বিভিন্নভাবে ফুসলাইতে থাকেন এবং বিবাহ করার আশ্বাস দেয়। আসামি বিবাহ করবে বলে আশ্বাস দেয়ায় বাদিনী আসামির সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যায়। এরই এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামি বাসায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে কথা বলে দাওয়াত দিয়ে বিবাদীকে বাসায় নিয়ে যায়। বিবাদী বাসায় গিয়ে অন্য কাউকে না দেখতে পেয়ে সে চলে আসতে গেলে আসামি বিবাদীকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়েও আসামি বাদিনীর সাথে একইভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও বিবাহ করেনি। বিবাহের চাপ দিলে এবং এ বিষয়ে অফিসে লিখিত অভিযোগ করিলে বাদিনীর বিভিন্ন অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
(ঢাকাটাইমস/১২জুন/আরজেড/জেবি)