সঞ্চয়পত্রে নির্ভরতা কমাবে সরকার
আগামী অর্থবছরের বাজেটে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে যে তিনটি খাতের ওপর নির্ভর করবে সরকার, তার মধ্যে সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হবে সঞ্চয়পত্রে। চলতি অর্থবছরের নয় মাসেই ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হলেও আগামী অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী বেচবেন ২৭ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশের সময় এই লক্ষ্যের কথা জানান মন্ত্রী। চলতি অর্থবছরে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের চেয়ে এই লক্ষ্যমাত্রা কম হলেও চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আগামী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা বেশি। চলমান বছরের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
গত কয়েক বছর ধরেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হচ্ছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হারের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদ বেশি হওয়ায় দেশবাসী ব্যাংকে টাকা রাখতে চাইছে না। আর এতে ব্যাংকে তারল্য সংকট তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে।
সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিতে সরকারকে ১১ দশমিক শূন্য ৪ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমাতে সাম্প্রতিক সময়ে টিআইএন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলকসহ হয়েছে।সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রে সরকারের মোট ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। এসব ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে বছরে বাজেটের একটা বড় অংশ ব্যয় করতে হচ্ছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৯৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/ডব্লিউবি)