প্রণোদনায় খুশি স্টক এক্সচেঞ্জ
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্তোষ জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ-ডিএসই। সংস্থাটির পরিচালক শাকিল রিজভী মনে করেন, বাজেট বাস্তবায়ন হলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন। এতে পুঁজিবাজারে আগ্রহ এবং আস্থা বাড়বে।
বুহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নানা প্রনোদনা রয়েছে। শিল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস হিসেবে হিসেবে ব্যাংকের বদলে পুঁজিবাজারের নির্ভরতার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সংকটে পড়া কোম্পানিগুলোকে অধিগ্রহণের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
বোনাস বা স্টক লভ্যাংশের বদলে নগদ লভ্যাংশে উৎসাহী করতে চায় সরকার। এ জন্য বোনাস লভ্যাংশ দিলে কোম্পানিকে বোনাসের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। আবার নগদ বিতরণ না করে রিটেইন আর্নিং হিসেবে জমা করলে সেটি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হলে তখনও দিতে হবে ১৫ শতাংশ কর। ফলে কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এতে করে বিনিয়োগকারীরা প্রতি বছর ভালো মুনাফা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আবার অভিহিত মূল্যের আশেপাশে থাকা শেয়ারধারীরা নগদ মুনাফা পেলে তারা বেশি লাভবান হবে। আবার কোম্পানির মুনাফা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা, মুনাফার ওপর দ্বৈতকর প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘একজন ব্রোকার হিসেবে আমি বেশ খুশি। কারণ, বাজেটে এবারই প্রথম পুঁজিবাজারকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে এমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়া হলে সেটা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো হবে।’
‘ব্যাংকের বদলে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নিলে এটা পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়াবে। বিপাকে পড়া কোম্পানিগুলো অধিগ্রহণের নীতিমালা হলে সেটাও বাজারকে ভালো করবে।’
তবে সরকারের কাছ থেকে আরো কিছু প্রত্যাশা করছিলেন শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, ‘রিয়েল এস্টেট খাতের মতো পুঁজিবাজারেও অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করেছিলাম আমরা। এটা হলে আরো ভালো হতো।’
পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নগদ মুনাফা বিতরণে উৎসাহী করাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কমপক্ষে ১০ শতাংশ মুনাফা বিতরণের নির্দেশ থাকলে ভালো হতো।’
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/ডব্লিউবি)