ব্যাংক কমিশনের ঘোষণা বাজেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুন ২০১৯, ২০:৫৩

ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা এবং অনিয়ম দূর করতে কমিশন গঠনের ঘোষণা এসেছে প্রস্তাবিত বাজেটে। বিপাকে পড়া ব্যাংক একীভূত করা, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, বিপাকে পড়া ঋণদাতাদের ‘এক্সিটের’ ব্যবস্থার ঘোষণা এসেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই ব্যাংকিং খাত নিয়ে কথা বলেন।

গত এক দশক ধরে ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। খেলাপি ঋণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় সরকারের তীব্র সমালোচনাও হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো প্রকার সংস্কার আমরা লক্ষ্য করি নাই। ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ গ্রহীতা ঋণ গ্রহণ করে ঋণ শোধে ব্যর্থ তার জন্য কোনো প্রকার এক্সিটের ব্যবস্থা ছিল না। আমরা এবার এই কার্যক্রমটি আইনি প্রক্রিয়া সুরাহার লক্ষ্যে একটি কার্যকর ইনসলভেন্সি আইন ও ব্যাংক ক্রাপ্টসি আইনের হাত ধরে ঋণ গ্রহীতাদের এক্সিটের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

ব্যাংক ও আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা সুদৃঢ় করার জন্য একটি ব্যাংক কমিশন প্রতিষ্ঠার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

ব্যাংকিং ব্যবস্থার একটি দুর্বলতা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করে আসছি আমাদের আর্থিক খাতে বিশেষ করো ইনস্টুমেন্টের আলাদা ব্যবহার ছিল না। তাই ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদের আমানত সংগ্রহ করে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ প্রদানে বাধ্য হতো। এতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। এটা কখনো সংকট সৃষ্টি করে। এই জাতীয় ভারসাম্যহীন অবস্থা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

‘একটি গতিশীল বন্ড মার্কেটসহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন- ওয়েজ আনার্স বন্ড, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ট্রেজারি বন্ডের ব্যবহার উৎসাহিত করব।’

‘এছাড়াও ব্যাংক খাতের সংস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে তা হলো- পর্যায়ক্রমে ব্যাংকের মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো, ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধন আনা হবে। যাতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অঙ্গ সমূহ, ভ্যাট, কাস্টমস ও আয়কর সংক্রান্ত আইনসহ অন্য কোনো আইনের সাংঘর্ষিক না হয় তা নিশ্চিত করা হবে।’

প্রয়োজনবোধে ব্যাংক একীভূতকরণ ও প্রয়োজনে সেটা যেন আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা যায় তার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও এসেছে বাজেটে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিল্প ও ব্যবসাখাতকে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করার লক্ষ্যে ব্যাংক ঋণের উপর সুদের হার এক অংকের উপর দেখতে চাই না। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

‘হোল্ডিং কোম্পানি এবং সাবসিডিআরই কোম্পানি সমূহের কার্যক্রম যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ব্যাংক কোম্পানি প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ঢাবির কেমিস্ট্রি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক কামরুল, সম্পাদক আফতাব আলী

বিডিবিএল-সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক ব্যবসায়িক সম্মেলন

তিন উৎসবে রঙিন এনআরবিসি ব্যাংক

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা

ব্যাংক এশিয়া কিনে নিচ্ছে পাকিস্তানি আলফালাহ ব্যাংক

এনসিসি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি

এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন মইদুল ইসলাম

ডিএমডি হলেন অগ্রণী ব্যাংকের শামিম উদ্দিন আহমেদ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :