এসি বাসে প্রাকৃতিক বাতাসই ভরসা!

দিপন দেওয়ান
 | প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০১৯, ১০:১৯

এমনিতেই গরমে নাকাল মানুষ, সেই গরমের হাত থেকে বাঁচতে বিআরটিসি এসি বাসে একটু শান্তির জন্য চড়ে মানুষ। অথচ বাড়তি পয়সা খরচ করে সেখানে শান্তির বদলে মেলে অসহ্য গরমের যন্ত্রণা। যানজটের এই শহরে আব্দুল্লাহপুর-ফার্মগেট-মতিঝিল এতো লম্বা রুটে বাসের সংখ্যা মাত্র ১০ থেকে ১২টি। বেশ কিছু গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে জোয়ার সাহারা ডিপোতে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় এসি বাসের জন্য।

এসি বাসগুলোর অবস্থা এখন খুবই নাজুক। কোনোটার এসি চললেও যাত্রীরা ঘেমে নেয়ে একাকার। বৃষ্টি হলে বাসের ভেতরে পানি ঢোকে। আবার অনেক সময় এসির পানি যাত্রীদের শরীরে ফোঁটা ফোঁটা পড়ে শীতল পরশের অনুভূতি দেয়। আবার কোনো বাস এসিতে গাড়ি ঠান্ডা হয় না, গাড়ির দরজাও ঠিকমতো লাগে না। বাইরের বাতাস যাত্রীর গায়ে শীতাতপ ব্যবস্থার পরশ দেয়।

প্রশ্ন হলো: নতুন কয়েকশ এসি বাস এনেছে সরকার বিআরটিসির জন্য। যেখানে আব্দুল্লাহপুর-ফার্গেট-মতিঝিল রুটে পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। সেই রুটে বাস না বাড়িয়ে উত্তরা এলাকায় চক্রাকার ফর্মেটে বাস দেয়ার যৌক্তিকতা কী!

এই রুটে এসি বাস সার্ভিস ছাড়া আর কোনো বাস নেই। এই রুটের মানুষদের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা। মানুষের চলাচলকে আরামদায়ক না করে সুযোগ থাকার পরও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাত্রীদের কষ্ট দেয়ার কারন কী!

আব্দুল্লাহপুর টু মতিঝিল এসি বাস সার্ভিস বেশ প্রয়োজনীয় এই রুটের যাত্রীদের কাছে। কারণ এসি বাস ছাড়া যাত্রীদের চলাচলের অন্য কোনো বাস সার্ভিস নেই। আব্দুল্লাহপুর-ফার্মগেট-গুলিস্তান ৩নং স্পেশাল বাস সার্ভিস যেটি ছিল সেটারও রুট পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে।

লেখক: সংবাদকর্মী, বাংলাভিশন

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :