সেই মসজিদের তালা খুলে দিলেন ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০১৯, ১০:৩৩

ঢাকাটাইমসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মালিকানা দাবিতে মসজিদে তালা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর মসজিদটির তালা খুলে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চরবকশিয়া গ্রামে কয়েকজন প্রভাবশালী বিদেশি অর্থায়নে নির্মিত একটি মসজিদের মালিকানা দাবি করে তালা দিয়ে নিজেদের আয়ত্বে রেখেছিল প্রায় দুই মাস। সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম উভয় পক্ষকে ডেকে তালা খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন। তালা খুলে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে মসজিদে স্বাভাবিকভাবে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।

প্রতিবেদনটি নজরে আসার পর মসজিদের তালা খুলে দিতে ১০ জুন লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠান মো. মেহেদী হাসান নামের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী । তবে লিগ্যাল নোটিশটি পৌঁছার আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মসজিদের তালা খুলে দেন।

ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, মসজিদে তালা দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তা খোলার নির্দেশ দিয়েছি। বর্তমানে তালা খুলে মুসল্লিরা স্বাভাবিকভাবে নামাজ আদায় করছেন।

প্রসঙ্গত, উপজেলার চর বকশিয়া গ্রামে কুয়েতের অর্থে ২০১৫ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। দুবাই প্রবাসী বেলাল হোসেনও সেই মসজিদে বিপুল টাকা অনুদান দেন। এরপর থেকে গ্রামের মুসল্লিরা সেখানে নামাজ আদায় করতেন। এর কিছু দিনের মধ্যে বেলাল হোসেন ও তার ভাই ছালাম মসজিদটি নিজেদের বলে দাবি করেন। বেলাল বর্তমানে দুবাইয়ে আছেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটি ভেঙে দেন ছালাম। পরে মসজিদ নিজেদের দখলে নিতে তালা ঝুলিয়ে দেন। এছাড়া কাউকে কিছু না জানিয়ে মসজিদের ইমামকে তাড়িয়ে দিয়ে নতুন ইমাম রাখা হয়। এরপর থেকেই নিজের ইচ্ছেমত মসজিদ পরিচালনা করেন ছালাম। স্থানীয়রা মসজিদে না গেলেও ছালাম ও ইমাম দুজনে মিলে মসজিদে নামাজ আদায় করতেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/আরকে/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :