তারা ‘ভালো না লাগা পার্টি’: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০১৯, ১৭:৪২ | আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯, ২০:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

সিপিডির মতো গবেষণা সংস্থাগুলোর বরাবরের নেতিবাচক বক্তব্য আর কথাবার্তাকে এক ধরনের অসুস্থতা হিসেবে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক থাকে যাদের একটা মানসিক অসুস্থা থাকে তাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনি যত ভালো কাজই করেন তারা এটাকে ভালো চোখে দেখে না।’

শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সরকার প্রধান। বরাবর এই সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় সংবাদ সম্মেলনটি করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সচরাচর অন্য মন্ত্রীরাও নানা প্রশ্নের জবাব দেন। তবে এবার অন্য কেউ কথা বলেননি।

লিখিত বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই সাংবাদিক শামীমা দৌলা বাজেট নিয়ে সিপিডির নেতিবাচক মূল্যায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে বিদেশি সংস্থাগুলো বরাবর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকলেও দেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বরাবর নেতিবাচক কথা বলেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সবকিছুতেই কিন্তু খোঁজে। যারা গবেষণা করে এসব বলছে তারা কোথা থেকে এ গবেষণা পেয়েছে আমি জানি না। তাদের একটা কিছু বলতে হবে। সেটা ভালো।’

‘আবার এত সমালোচনা করার পরেও বলবে আমরা কথা বলতে পারি না। এই রোগটাও তাদের আছে। এটা অনেকটা অসুস্থতার মতো। আমার কথা হচ্ছে আমার সাধারণ জনগণ খুশি কি না, সাধারণ মানুষ খুশি কি না। সাধারণ মানুষগুলো তাদের ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারছে কি না।’

সিপিডিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা গল্প আছে না, পড়াশোনা করছে ছেলে, পাস করবে না। পাস করার পরে বলল, চাকরি পাবে না। চাকরি পাওয়ার পর বলল, বেতন পাবে না। বেতন পাওয়ার পরে বলল, বেতনের টাকা চলবে না। তো উনাদের সেই অসুস্থতা।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এবার মিলিয়ে টানা ১১তম বাজেট পেশ হয়েছে। প্রতিবারই সিপিডির মূল্যায়ন ছিল নেতিবাচক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো না লাগা পার্টি যারা তাদের কেনো ভালো লাগে না সেটা জানি না। তারা যে গবেষণা করছে সেটা দিয়ে দেশের জন্য কী আনতে পেরেছেন ‘

‘আমি এটুকু বলব দেশকে দারিদ্রমুক্ত করা, দেশকে উন্নত করা, সমৃদ্ধিশীলী করা এবং স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এবং এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ঠ অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমি এটুকু বলতে পারি বাংলাদেশ আগে বিদেশে গেলে সবাই ভাবত আমরা ভিক্ষুকের জাত হিসেবে যাচ্ছি, এখন আর তা মনে করে না। এটি হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। যারা সমালোচনা করার তারা করে যাক। ভালো কথা বললে আমরা গ্রহণ করব আর মন্দ কথা বললে আমরা সেটা নেব না।’

ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এনআই/ডব্লিউবি