মোমেন-জয়শংকরের প্রথম বৈঠকে গুরুত্ব পেল দ্বিপাক্ষিক ইস্যু

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৯, ১৮:৩৭ | আপডেট: ১৫ জুন ২০১৯, ১৮:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাদের প্রত্যাশা, এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে।

কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার ইন এশিয়া (সিআইসিএ)-এর পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সেখানে শুক্রবার ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এস. জয়শংকরের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম সাক্ষাৎ।

বৈঠকে মোমেন বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা দেখিয়েছে।

তিস্তা ও সীমান্ত হত্যা ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূ-কৌশলগত সুবিধার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভারত আঞ্চলিক সংযোগ এর ওপর সমধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। বিমসটেক -কে শক্তিশালী করলে তা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরিপক্ক ও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ-বিরাজিত অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর ইস্যুসমূহ সমাধান করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যে অভূতপূর্ব উচ্চতায় উন্নীত করেছেন, তা বিশ্বের অপরাপর দেশসমূহের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ হতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য জয়শংকরকে অভিনন্দন জানান।

এ সময় মোমেন বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে জয়শংকরের সহযোগিতা কামনা করেন । তিনি ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে ভারতকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে জয়শংকর দ্রুতই একটি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এনআই/জেবি)