পুঁজিবাজার নিয়ে সিদ্ধান্তে বিপাকে ব্যাংক

রহমান আজিজ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ জুন ২০১৯, ১১:৫২ | প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০১৯, ০৮:০৭
সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করছেন অর্থমন্ত্রী

পুঁজিবাজারে বোনাস শেয়ার বা স্টক ডিভিডেন্ডের বদলে নগদ লভ্যাংশ উৎসাহী করতে বাজেটে দেওয়া কর্মপরিকল্পনায় বিপাকে পড়তে যাচ্ছে তালিকাভুক্ত ব্যাংক। কারণ অর্থমন্ত্রীর দুই প্রস্তাবের একটি মানতে হলে ব্যাংকগুলোতে তার রিজার্ভ ভেঙে বিপুল পরিমাণে কর দিতে হবে সরকারকে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দেওয়া বাজেট প্রস্তাবনায় বলা আছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বোনাস শেয়ার দিতে চাইলে সেই বোনাসের ওপর ১৫ শতাংশ হাতে কর দিতে হবে। এতদিন বোনাস শেয়ার করমুক্ত ছিল।

আরেকটি প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি কোনো আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে, তার ওপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।

দ্বিতীয় এই প্রস্তাবের কারণে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো দুশ্চিন্তায় পড়েছে। কারণ, তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে কেবল আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের কোনো রিজার্ভ নেই। বাকি ২৯টির মধ্যে কোনো ব্যাংকের রিজার্ভই তার পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের কম নয়।

এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে দুটির রিজার্ভ কেবল পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের কিছু বেশি। বাকিগুলোর কোনোটি পরিশোধিত মূলধনের প্রায় শতভাগ বা শতভাগের বেশি। কোনো কোনোটি দ্বিগুণ, তিন গুণ, এমনকি চারগুণ রিজার্ভ ধারণ করেছে। এখন ৫০ শতাংশের ওপর বাকি রিজার্ভে ১৫ শতাংশ কর দিতে হলে কোনো কোনো ব্যাংকের সারা বছরের মুনাফাই চলে যাবে এই বাড়তি কর পরিশোধে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বোনাস শেয়ার প্রদানে নিরুৎসাহিত করতে শেয়ারের ওপর বাড়তি করের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হলেও রিজার্ভের ওপর করের বিষয়টি বাজারের জন্য ক্ষতিকারক হবে। কারণ, দেখা গেছে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ কম হলে বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

বাজেট প্রস্তাবনায় ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভে করারোপের এই প্রস্তাব নিয়ে চিন্তিত ডিএসই ব্রোকার্স ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘স্টক ডিভিডেন্ড ও রিজার্ভের একটি পরিমাণের পর ১৫ শতাংশ কর অরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এটি ব্যাংক খাত, ম্যানুফ্যাকচারিং ও পুঁজিবাজারের জন্য মোটেও ভালো খবর নয়। এটি অন্তর্ঘাতমূলক সিদ্ধান্ত।’

‘বিশ্বের এখনও কোথাও এমন নজির আমার চোখে পড়েনি। অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমেও কোথাও এমনটা দেখিনি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এতে ব্যাংকের ওপর যে বাড়তি চাপ পড়বে, সেটা হয়ত তারা বিবেচনা করেনি। তবে আমরা সরকারকে এই বিষয়টি নিয়ে জানাব। আশা করি বাজেট পাসের আগেই এর একটি সমাধান হবে।’

কোন ব্যাংককে কত বাড়তি কর দিতে হবে

নতুন এই বিধান কার্যকর হলে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি কর পরিশোধ করতে হবে ইসলামী ব্যাংককে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬১০ কোটি টাকা। রিজার্ভ রয়েছে তিন হাজার ৪৫৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কিন্তু ‘করমুক্ত’ রিজার্ভ হবে ৮০৫ কোটি টাকা। বাড়তি দুই হাজার ৬৫১ কোটি টাকা করমুক্ত সুবিধার বাইরে থাকছে। এজন্য ব্যাংকটিকে বেশি কর দিতে হবে ৩৯৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী এই ব্যাংকটি করমুক্ত রিজার্ভ রাখতে পারবে ২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকটির রিজার্ভ ও সারপ্লাস রয়েছে দুই হাজার ১০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই প্রস্তাব কার্যকর হলে তার এক হাজার ৮৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা কর যোগ্য হবে। এ জন্য ব্যাংকটিকে ২৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি কর দিতে হবে।

ব্যাংকটি গত বছর মুনাফা করেছে ৪২০ কোটি টাকা। তবে এই পরিমাণ মুনাফা এর আগের পাঁচ বছরে করতে পারেনি। ২০১৭ সালে তাদের মুনাফা ছিল ২৪৫ কোটি টাকা। তার আগের বছর ১৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ওই দুই বছরের সমান মুনাফা হলে বছর শেষে এক টাকাও আয় করতে পারবে না তারা।

গত দুই বছর সংকটের কারণে প্রত্যাশিত মুনাফা করতে না পারা এবি ব্যাংকও বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কার মুখে। এই ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৭৫৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ব্যাংকটির রিজার্ভ ও উদ্বৃত্ত তার দ্বিগুণেরও বেশি; এক হাজার ৬৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা।

করের বাইরে ৫০ শতাংশ রিজার্ভ হলে এবি ব্যাংক রাখতে পারবে ৩৭৯ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু বাড়তি ব্যাংকটিকে এক হাজার ২৬১ কোটি টাকার ওপর ১৫ শতাংশ বেশি কর দিতে হলে তাদেরকে দিতে হবে ১৮৯ কোটি টাকা।

গত দুই বছর এই পরিমাণ মুনাফাও হয়নি এবি ব্যাংকের। ২০১৮ সালে তাদের মুনাফা ছিল সাড়ে চার কোটি টাকার কিছু বেশি। আগের বছর ছিল চার কোটি টাকা মাত্র।

উত্তরা ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। তারা রিজার্ভ ‘রাখতে পারবে’ ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু আছে প্রায় চার গুণ, ৯৯২ কোটি টাকা। এই ৭৯২ কোটি টাকার জন্য ব্যাংকটিকে দিতে হবে ১১৮ কোটি টাকা।

ব্র্যাক ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ২৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ব্যাংকটির ৬১৬ কোটি টাকা পর্যন্ত রিজার্ভের ওপর কর দিতে হবে না। কিন্তু রিজার্ভ রয়েছে ১ হাজার ৯০৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসেবে এক হাজার ২৯০ কোটি টাকা রিজার্ভে ১৯৩ কোটি টাকা বেশি কর দিতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ২৮ কোটি টাকা। ব্যাংকটির রিজার্ভ আছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভের জন্য এই ব্যাংকটিকে বাড়তি কর দিতে হবে ১৭৬ কোটি টাকা।

ইর্স্টার্ন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। রিজার্ভ রয়েছে এক হাজার ৫২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির ‘অতিরিক্ত’ এক হাজার ১১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা রিজার্ভ আছে। এজন্য ব্যাংকটিকে ১৬৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বেশি কর দিতে হবে।

সিটি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৯৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভ আছে এক হাজার ৪৯৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যতটুকু রিজার্ভ রাখা যাবে তার চেয়ে বেশি আছে এক হাজার ১৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটিকে বেশি কর দিতে হবে ১৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

সাউথ ইস্ট ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৫৪ কোটি টাকা। তারা রিজার্ভ রাখতে পারবে ৫২৭ কোটি টাকা। কিন্তু আছে এক হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। এই ‘বাড়তি’ এক হাজার কোটি টাকার জণ্য বাড়তি কর দিতে হবে ১৫০ কোটি টাকা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৫৪ কোটি টাকা। এই ব্যাংকটি ৫০ শতাংশ হিসেবে রিজার্ভ রাখতে পারবে ৫২৭ কোটি টাকা। কিন্তু আছে এক হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এই বাড়তি ৯৬০ কোটি টাকার জন্য অতিরিক্ত গুণতে হবে ১৪৪ কোটি টাকা।

প্রাইম ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। রিজার্ভ ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভ রাখায় তাদেরকে বাড়তি কর দিতে হবে ১২১ কোটি টাকা।

এক্সিম ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রিজার্ভ এক হাজার ৩৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ব্যাংকটি রিজার্ভের ৭০৬ কোটি ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পাবে। কিন্তু বাড়তি ৬৪৬ কোটি টাকাও ওপর ৯৭ কোটি টাকা কর দিতে হবে।

ব্যাংক এশিয়ার পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভ এক হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটের নিয়োমানুযায়ী ব্যাংকটির বেশি কর দিতে হবে ৫৭১ কোটি টাকার ওপর, অর্থাৎ ৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮১৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। রিজার্ভ আছে ৯৪৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এই ব্যাংকটিতে ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভ এর জন্য কর দিতে হবে ৮০ কোটি টাকা।

আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪৪ কোটি টাকা। রিজার্ভ এক হাজার ৩১ কোটি টাকা। ‘অতিরিক্ত রিজার্ভ’ ৫০৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকটিকে ৭৬ কোটি টাকা কর দিতে হবে।

ঢাকা ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮৫৩ কোটি টাকা, রিজার্ভ ৮৭১ কোটি টাকা আছে। ব্যাংকটি ৪৪৫ কোটি টাকা বেশি রিজার্ভ ও সারপ্রাস রেখেছে। ব্যাংকটিকে এখন ৬৬ কোটি ৭৫ টাকা বেশি কর দিতে হবে।

যমুনা ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৭৪৯ কোটি টাকা। রিজার্ভ আছে ৭৯৩ কোটি টাকা। কিন্তু ৫০ শতাংশ হিসেবে তারা করমুক্ত রিজার্ভ রাখতে পারবে ৩৭৪ কোটি টাকা। বাড়তি ৪১৮ কোটি টাকার ওপর ৬২ কোটি টাকা অতিরিক্ত কর বসবে এই ব্যাংকের ওপর।

ট্রাস্ট ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৫৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, রিজার্ভ ৬৯০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ‘বাড়তি’ ৪১২ কোটি টাকার জন্য তাদের গুণতে হবে ৬১ কোটি টাকারও বেশি।

স্টার্ন্ডাড ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮৭০ কোটি টাকা, রিজার্ভ ৪৭০ কোটি টাকা। বাড়তি ৪০০ কোটি টাকার জন্য অতিরিক্ত কর দিতে হবে ৬০ কোটি টাকা।

এনসিসি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮৮৩ কোটি টাকা। রিজার্ভ আছে ৮৩৫ কোটি টাকা। এদেরকে ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভ রাখায় কর দিতে হবে ৫৯ কোটি টাকা।

রাষ্ট্রায়াত্ব রূপালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩৭৬ কোটি টাকা। রিজার্ভে আছে ৫৮১ কোটি টাকা। এই ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভের জন্য তাদেরকে গুণতে হবে ৫৮ কোটি টাকা।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৫৭৩ কোটি টাকা। রিজার্ভ রয়েছে ৬০২ কোটি টাকা। ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভের জন্য তাদেরকে কর দিতে হবে ৪৭ কোটি টাকা।

ওয়ান ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৭৬৬ কোটি টাকা। রিজার্ভ আছে ৬৫৫ কোটি টাকা। তাদেরকে অতিরিক্ত কর দিতে হবে ৪০ কোটি টাকা।

আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিজার্ভ রয়েছে ৮৭১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। তাদেরকে ২০২ কোটি টাকার ওপর ৩০ কোটি টাকা অতিরিক্ত কর দিতে হবে।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮১২ কোটি টাকা। রিজার্ভ ৬০৬ কোটি টাকা। ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভের জন্য তাদের গুণতে হবে ৩০ কোটি টাকা।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৯২৪ কোটি টাকা। রিজার্ভে আছে ৬১৭ কোটি টাকা। এই ব্যাংকটিকে অতিরিক্ত কর দিতে হবে ২৩ কোটি টাকা।

শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮৪৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে ৫১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ‘অতিরিক্ত’ রিজার্ভের জন্য তাদেরকে কর দিতে হবে ১৩ কোটি টাকা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮৬২ কোটি টাকা, রিজার্ভ ৪৭৩ কোটি টাকা, যা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ২ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। রিজার্ভ আছে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এই ব্যাংকটিকে অবশ্য তেমন বাড়তি কর দিতে হবে না।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পেইড আপ ক্যাপিটাল রয়েছে ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভ রয়েছে ঋণাত্মক ১ হাজার ৭০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ফলে তাদেরকে কোনো রকম ঝামেলায় পড়তে হবে না।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/আরএ/ডব্লিউবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :