চালান পিওএস সফটওয়্যার আনল কানেক্ট বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ১৩:৩৩

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কানেক্ট বাংলাদেশ লিমিটেড নিয়ে এলো জনপ্রিয় পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) সফটওয়্যার চালান । চালান সফটওয়্যারের ব্যবহার অত্যন্ত সহজ এবং যে কোন খাবারের দোকান, ফুড কোর্ট, হোটেল, রেঁস্তোরা ও কফি শপে এটি ব্যবহার করা যাবে। 

এতে রয়েছে অ্যাকাউন্ট, ইনভান্টরি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ম মাফিক ভ্যাট এর সুবিধা। আলাদা আলাদা ক্যাশ কাউন্টার, দিন শেষের হিসাব ও বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। 

আপনার ব্যবসা অনুযায়ী নিজের মতো করে পরিবর্তন করে নেয়ার সুবিধাও থাকছে এতে। চালান পিওএস সিস্টেমটি যে কোনো পিসি বা অনলাইন ভিত্তিক সিস্টেমে চলমান সফটওয়্যার আপনার ব্যবসা চালানো সহজ ও  লাভজনক করবে। চালান পিওএস  সিস্টেমের আপনার বিক্রয় ফলাফলগুলোতে আপনার জন্য জোরালো প্রতিবেদন তৈরি করার ক্ষমতা  রাখে। এটা দৈনিক, ঘন্টা এবং রিয়েল টাইম প্রতিবেদন তৈরি করতে সক্ষম।

যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের লেনদেন ও টার্নওভারের তথ্য এতদিন ইচ্ছামতো সংরক্ষণ করলেও এখন তা নিয়ন্ত্রণে আনছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বছরে ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি টার্নওভার হলে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বা লেনদেন তথ্য এনবিআর অনুমোদিত সফটওয়্যার বা কম্পিউটার সিস্টেমে সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ন্যায্য ভ্যাট আদায় সফটওয়্যারভিত্তিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে এনবিআর।

চালান পিওএস সফটওয়্যারে পাঁচটি ভিন্ন হারে স্বয়ংক্রিয় ভ্যাট গণনার ব্যবস্থা থাকবে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে চালানোর জন্য ওয়াইফাই সংযোগ বা ব্রডব্যান্ড সংযোগ থাকবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা বিবেচনায় নিয়ে সফটওয়্যারে অতিরিক্ত ব্যাটারির পাশাপাশি উপযুক্ত সিম সংযুক্ত করা হবে। সফটওয়্যার থেকে পণ্য ও সেবার বিপরীতে গ্রাহকদের যে চালান দেওয়া হবে, তাতে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা; বিআইএন নম্বর; তারিখ ও সময়; ক্যাশিয়ারের নম্বর ও কাউন্টার নম্বর; ফিসক্যাল ডিভাইস ও মেমোরি নম্বর; পণ্যের পরিমাণ, মূল্য, ভ্যাটের হার ও পরিমাণ, ভ্যাটসহ পণ্যমূল্য উল্লেখ থাকবে। ফলে চালান প্রদানের পর হিসাবে গরমিল করার সুযোগ থাকবে না ব্যবসায়ীদের। একটি লেনদেনে একাধিক প্রিন্ট দেওয়ার সুযোগও থাকছে না কোনো প্রতিষ্ঠানের। 

চালান পিওএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের দৈনন্দিন ব্যবসার খুঁটিনাটি কাজ করতে পারবেন। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ক্রয় হিসাব পুস্তক, বিক্রয় হিসাব পুস্তক, কর চালানপত্র, চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের চালানপত্র, পণ্য স্থানান্তর চালানপত্র, উৎসে কর কর্তন সনদপত্র, ক্রেডিট ও ডেবিট নোট, টার্নওভার কর চালানপত্র, ক্রয়-বিক্রয় চালানপত্রের তথ্য, সম্পূরক শুল্ক্ক সমন্বয়ের আবেদনপত্র, মূল্য সংযোজন কর দাখিলপত্র এবং গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় কার্যতালিকা এবং প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবেন। 

এর রয়েছে শক্তিশালী ব্যাক অফিস এডমিন প্যানেল যার মাধ্যমে আপনি আপনার  (পিওএস) সফটওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ ও কাস্টমাইজ করতে পারবেন।  ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজে সফটওয়্যারটি পাওয়া যাচ্ছে।  

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এজেড)