প্রস্তাবিত বাজেটের পরিবর্তন চান তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ১৫:৩২ | আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯, ১৫:৫১

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও  এর সেবা সংক্রান্ত খাতের উন্নয়নের জন্য  ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১১ বিষয়ে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে এই খাতের চার শীর্ষ সংগঠন। সংগঠনগুলো হলো, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিসেস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।

১৬ জুন রবিবার চারটি সংগঠনের পক্ষ থেকে যৌথভাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজেট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আইসিটিখাতে আগের থেকে বরাদ্দ বেড়েছে, প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য  এক শ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এগুলো প্রশংসার দাবিদার। আমরা কৃতজ্ঞ এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আইসিটিখাতের কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। কিছু জায়গায় নতুন করে ভ্যাট ও অন্যান্য ট্যাক্স আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় আগের থেকে করের হার বাড়ানো হয়েছে। সেগুলোর পরিবর্তন চাই আমরা।

বেসিস সভাপতি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা এখন অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছে। এগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনুন্নত দেশগুলোকে আইটি সাহায্য দিতে পারে বাংলাদেশ। যেখানে আমাদের লোকেরাই কাজ করবে। এটা করতে পারলে বিশ্ব দরবারে আমাদের আইটি আইসিটি খাতের বড় একটা এক্সপোজার হবে। এজন্য ৫শ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ চেয়ছিলাম আমরা সরকারের কাছে। বাজেটে সে ধরনের কিছু পায়নি। আমরা চাই সরকার এইখাতে বরাদ্দের।

এছাড়াও আইটিইএস’র সংজ্ঞা নতুন করে সাজিয়ে আরও কিছু খাত এতে সংযুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

অন্যদিকে ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর মূসক মুক্ত রাখার ক্ষেত্রে মনিটরের আকার বাড়ানোর দাবি জানান বিসিএস’র সভাপতি শাহীদ উল মুনির।

তিনি বলেন, বিশ্বে এখন আর কোনো কোম্পানি ২২ ইঞ্চি মনিটর উৎপাদন করছে না। ন্যূনতম আকারের মনিটর হবে ২৪ ইঞ্চি। তাই মূসক মুক্ত আওতায় ২৪ ইঞ্চি মনিটর সংযুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।

সংবাদ সম্মেলনে ফাইবার অপটিক ক্যাবল’র ওপর ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি এবং এনটিটিএন সংযোগের উপর থেকে ৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহারের দাবি জানান  আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম। তিনি বলেন, ফাইবার অপটিক এবং এনটিটিএন’র মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সমিশন খরচ এমনিতেই অনেক বেশি। যে কারণে ঢাকার থেকে বাইরের অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেটের দাম বেশি হয়। তার ওপর এমন ভ্যাট ও কর আরোপ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। অথচ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়ালে জিডিপিতে তা ১ শতাংশের বেশি অবদান রাখে। তাই সরকারের এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করা উচিত। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছ থেকে হয়রানি ছাড়াই কর মওকুফ’র সনদ পেতে চায় বাক্য ও বেসিস।

এছাড়াও আইসিটিখাতে দীর্ঘমেয়াদী কর নীতি প্রণয়নেরও দাবি জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

দেখুন ভিডিও:

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এজেড)