নদী উদ্ধার কার্যক্রম

ড্রেজিংয়ে বাধা, ছয়জনের নামে বিআইডাব্লিউটিএ’র মামলা

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ১৬:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাধন, নদীতে চলমান ড্রেজিং কাজে বাধা প্রদান করার অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।

শনিবার রাতে সংস্থাটির পক্ষে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থাকায় বিআইডাব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক (বন্দর) নূর হোসেন এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- জাকির হোসেন, রাজিব হোসেন, মো. শাহিন, মো. ফিরোজ, মো. মনির ও মো. সজিব। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পেনাল কোর্টের ৩৪১, ৪২৭, ৪৩৪, ২৮৩, ৩৫৬, ৫০৬ ধারায় এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধনী-২০১০) এর ১৫(১) ধারায় এই মামলা করা হয়।

গত ৬ মার্চ তুরাগ নদের বসিলা অংশে ‘আমিন-মোমিন হাউজিং কোম্পানি’র অবৈধভাবে ভরাটকৃত অংশে ড্রেজিং শুরু করে বিআইডাব্লিউটিএ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ড্রেজিং কাজ চলাকালে পেশিশক্তি ব্যবহার করে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেয়া হয়। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণনাশের হুমকি এবং রাতের আঁধারে ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের হুইস পাইপ কেটে ফেলে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর গত ১৩ জুন ড্রেজিং কাজ চলাকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালায়।

এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ।
তবে মামলাটিকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি সরকারি মামলা, সেহেতু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করেছি। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে ৩ হাজার ৫৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডাব্লিউটিএ। অভিযানের ১১তম দিনে ১৯ ফেব্রুয়ারি ‘আমিন-মোমিন হাউজিং’ এ উচ্ছেদ পরিচালনা করতে গেলে সেখানে বাধার মুখে পরে অভিযান পরিচালনাকারী দল। কালকিনি পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান উচ্ছেদে বাধা দেয়। পরে তাকে আটকের নির্দেশ দেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। যদিও কিছুক্ষণ পরেই তাকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে উচ্ছেদ বন্ধ করে ফিরিয়ে নেয়া হয় অভিযানের দায়িত্বে থাকা বিআইডাব্লিটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিনকে।

অবশ্য পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করা হয় নদের বিশাল আয়তনের জায়গা। এরপর ৬ মার্চ থেকে উদ্ধারকৃত অংশে নদের প্রবাহ স্বাভাবিক করতে ড্রেজিং কাজ শুরু করে বিআইডাব্লিউটিএ।

ঢাকাটাইমস/১৬জুন/কারই/ইএস