‘রামগড় স্থলবন্দর ভারত-বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বে সেতুবন্ধন তৈরি করবে’

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০১৯, ১৯:১৪

রামগড় স্থলবন্দর ভারত-বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বে সেতুবন্ধন তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। রবিবার বেলা ১১টায় পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে রামগড় স্থলবন্দর এলাকা পরির্দশনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ বাণ্যিজিকভাবে যেমন অর্থনৈতিক লাভবান হবে, তেমনি চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যাত্রী পরিবহনে অনেক সুবিধা হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেতু ও স্থলবন্দর কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যেমন বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে, তেমনি দুই দেশের মধ্যে একটি ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন তৈরি হবে।’

ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস রামগড় স্থলবন্দর এলাকায় এসে পৌঁছালে তাকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান।

এসময় খাগড়াছড়ি আসনের সাংসদ ও শরণার্থী বিষয়ক টাক্সফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সহধমির্নী মল্লিকা ত্রিপুরা, ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্র্নেল তারিকুল হাকিম, খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম সালাহউদ্দিন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু ও জুয়েল চাকমা, উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাত, খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুবজ চাকমা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২.৫৭ কোটি ভারতীয় রুপি। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :