প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডে গতি প্রয়োজন: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ২৩:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে দেশে-বিদেশে তুলে ধরতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডে আরো গতির সঞ্চার করতে হবে বলে মনে করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। 
রবিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ আগারগাঁও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সেমিনার কক্ষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ পদ্ধতির বাস্তবতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন একটি অধিদপ্তর। এটি একটি রাষ্ট্রের ঐতিহ্যের সবচেয়ে বড় ধারক ও বাহক। বর্তমানে দেশে সংরক্ষিত প্রত্নস্থলের সংখ্যা ৫০১টিতে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ৪১-৪২টিতে দর্শনীর বিনিময়ে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার রয়েছে। আমাদের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে দেশে-বিদেশে তুলে ধরতে হলে এ অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডে আরো গতির সঞ্চার করতে হবে।’

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে আরো গতিশীলতার আনার তাগিদ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক কাজে গতিশীলতা আনয়ন করুন যাতে এ অধিদপ্তরের কার্যক্রম জনসমক্ষে আরো দৃশ্যমান হয়। প্রত্নতত্ত্ব সেক্টরে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার দেয়ার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। 

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. অসিত বরণ পাল।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বুলবুল আহমেদ ও ড. মোকাম্মেল হোসেন ভুঁইয়া। 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রত্নসম্পদ ও সংরক্ষণ) মো. আমিরুজ্জামান।

ঢাকাটাইমস/১৬জুন/কারই/ইএস