তিন বছর ধরে বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণকারী গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তিন বছর ধরে বন্ধুর মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণকারী মকবুল হোসেন প্রধানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের নেতৃত্বে ভুরুঙ্গামারী থানার পুলিশ

সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আটক মকবুল হোসেন প্রধানীর বাড়ি কচাকাটা থানা এলাকার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামে।

নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় তার বাবার বন্ধু মকবুল শ^শুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে প্রথম ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছরে অসংখ্যবার তাকে যৌন নির্যাতন করেন মকবুল। বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণের শুরুটা তার স্ত্রীর মাধমে হলেও শেষে স্ত্রীই বিষয়টি জনসম্মুখে নিয়ে আসেন গত বুধবার।

আজ সোমবার ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। এই মামলার ভিত্তিতে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেয়েটি জানায়, বাবার বন্ধু হওয়ায় মকবুল তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাদের পরিবারও মকবুলের বাড়িতে যাতায়াত করত। সে যখন ব্যাপারীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে সময় মকবুল তার স্ত্রী ও তাকে সঙ্গে করে নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে একটি ঘরে মকবুল ও মেয়েটিকে রেখে তার স্ত্রী বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যান। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন মকবুল।

পরে মেয়েটি কান্নাকাটি করলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কুড়িগ্রাম নিয়ে গিয়ে লোক দেখানো বিয়ে করে। তারপর থেকে প্রায়ই ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন মকবুল। গত বুধবার সকালে তার বাড়ির মুঠোফোনে ফোন দিয়ে পাশের এক ভ্যানচালকের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে দৈহিক মিলনে বাধ্য করেন মকবুল। এ সময় মকবুলের স্ত্রী গিয়ে তাদের আটক করে মেয়েটিকে মারধর করেন। পরে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শওকত আলী জানান, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি আগেই মিডিয়াতে আসে। মামলা হওয়ার পর আজ সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলা চত্বরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে থেকে মকবুলকে আটক করা হয়।’ তাকে কচাকাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।