জিন তাড়াতে গিয়ে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মুয়াজ্জিনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৭ জুন ২০১৯, ২২:১১

ইমাম-মুয়াজ্জিনের প্রতি মানুষের প্রচণ্ড বিশ্বাস। গ্রামঞ্চলে এরা ঝাড়-ফুঁক দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাও করে থাকেন। জিন-পরী আর ভুতের চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আরেকটু বেশি। এমন সুযোগে টাঙ্গাইলের সখীপুরে জিন তাড়ানোর কথা বলে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মসজিদেও একজন মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ওই শিশুটির মা বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কুতুবপুর গ্রামে।

অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন রুহুল আমীন উপজেলার কুতুবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে।

মামলার বিবরণ ও মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ওই মুয়াজ্জিন মেয়েটির বাড়িতে যায়। এসময় ওই মেয়েটিকে জিনে ধরেছে এবং তাকে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে জিন তাড়াতে হবে এমন কথা জানান তার পরিবারকে। পরে মেয়েটিকে একটি ঘরে আলাদা নিয়ে ঝাড় ফুঁক দেয়। ঝাড় ফুঁকের এক পর্যায়ে মেয়েটির চোখে-মুখে সরিষার তৈল দিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে যায়। এসময় ওই মুয়াজ্জিন দ্রুত বাড়ি ত্যাগ করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটকিয়ে গণপিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় মাতাব্বরদের সহযোগিতায় মুয়াজ্জিন পালিয়ে যায়।

মেয়েটির মা বলেন, ‘ওই মুয়াজ্জিন আমার মেয়েকে জিন তাড়ানোর কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে এলাকার মাতাব্বররা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসে তারা। এজন্য মামলা করতে দেরি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই মুয়াজ্জিন এলাকায় ঝাড়-ফুঁক, পানিপড়াসহ বিভিন্ন ধরনের কবিরাজি চিকিৎসাও করতেন।’

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছে। অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :