মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংসে এক মাস সময় দিল হাইকোর্ট

প্রকাশ | ১৮ জুন ২০১৯, ১৪:২৫ | আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯, ১৫:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ফার্মেসির মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করে একমাসের মধ্যে ধ্বংস করতে হবে। দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য আসার পর এই নির্দেশ এসেছে সর্বোচ্চ আদালত থেকে।

একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দিয়েছে।

গত ১০ জুন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ঢাকার প্রায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হয়। তাদের ছয় মাসের পর্যবেক্ষণের চালিয়ে এই চিত্র পাওয়ার কথা জানান তিনি।

পরদিন এই তথ্য গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। আর বিষয়টি নিয়ে রিট করা হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধ ও অবিলম্বে সেগুলো প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার আবেদনটি করা হয়।

শুনানি শেষে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রেতা, সরবরাহকারী ও সংরক্ষণকারীদের শনাক্ত করতে আলাদা কমিটি গঠন করতে বলা হয়।

এতে স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এসব আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির পক্ষে তথ্য-প্রমাণসহ প্রতিবেদন দিতেও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট উপপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিটকারী আিইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোক্তা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিজেই বলছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এটা কিসের ভিত্তিতে বলছে, সে প্রতিবেদনটা দেখা দরকার। তাহলে বিষয়টি বুঝা যাবে।’

আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের সঙ্গে ফার্মেসি, ওষুধাগারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও সংরক্ষণ বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও উপ পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও মহাসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।