সোহেল তাজের ভাগ্নেকে পেতে কাজ করছে পুলিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ জুন ২০১৯, ১৭:১৫

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের নিখোঁজ ভাগ্নের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, ‘ওনাকে কেউ হয়ত নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ কাজ করছে। তার ভাগ্নে বেরিয়ে আসবেন।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনু্ষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘সোহেল তাজ বলেছেন তার ভাগ্নেকে নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমি তো মনে করি তার ভাগ্নে কোথাও গিয়ে থাকলে সে ফিরে আসবে। না হলে এর মধ্যে আমাদের যে পুলিশ কর্মকর্তারা আছেন তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে গেছে বলে সোহেল তাজের ভাগ্নের স্বজনদের যে অভিযোগ করেছে সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এগুলো শুনিনি। আমি যতটুকু জানি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তিনি আমাকে ফোন করেছেন, আমি তার কথা শুনেছি। এরপর আমি পুলিশ কমিশনারকে যা বলার বলেছি। তিনি কাজ করছেন, হয়ত তার খোঁজ পাওয়া যাবে এবং তার ভাগিনা বেরিয়ে আসবেন।’

এ সময় সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রেপ্তার, ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার বিষয় এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের পদায়নের বিষয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কারাগারে পাঠানো ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের অন্যায় অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মোয়াজ্জেম হোসেনের বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সে (ওসি মোয়াজ্জেম) কিন্তু (নুসরাতের) মামলাটা রিসিভ করেছে, মামলাটা রিসিভ করে প্রিন্সিপালকে অ্যারেস্ট করে অলরেডি চালান দিয়ে দিয়েছিল। এগুলো যে সারেন্ডার করে বললেই....। সে একটা বোকামি করেছে।’

হাতকড়া ছাড়া মোয়াজ্জেম হোসেনকে আদালতে নেওয়ার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কতগুলো নিয়মও তো আছে। সে যে অন্যায় করেছে সেই অন্যায়ের জন্য যতখানি প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

ডিআইজি মিজান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সবই দেখছেন। ডিআইজি মিজান সে অলরেডি সাসপেন্ড হয়েছেন। তার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তিনি অপরাধ করে থাকলে অবশ্যই তাকে শাস্তি পেতে হবে।’

পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপিদের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘সব সময় সবকিছু এগিয়ে যায়। আগে ওসি হতেন একজন এসআই। এখন ওসি হন একজন প্রথম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার। উন্নয়ন, এগিয়ে যাওয়া একটা রুটিন ওয়ার্ক, এটা হবেই। এটা সব সময়ই সবকিছু অ্যাডপ করছি আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা সবকিছু করে যাচ্ছি। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের যখনই যেটা প্রয়োজন হবে, যখনই যেটা মনে করবো এটা করা উচিত, আমরা সেটাই করছি জনস্বার্থে। আমরা যে প্রোগ্রাম নিচ্ছি জনসাধারণকে লক্ষ্য করে, জনকল্যাণ লক্ষ্য করে। আপনি যেটা (অ্যাডিশনাল এসপিদের পদায়ন) বলছেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। এখই যে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে বা ইমপ্লিমেন্ট করছি এরকম কিছু হয়নি।’

তিনি বলেন, আগে ২০ জন কনস্টেবল থাকতো এক থানায়, এখন ৫০ জন। দু’জন এসআই থাকতো, একজন এসআই চার্জে থাকতো। এখন ৩০-৪০ জন এসআই একটি থানায় কাজ করে।

অ্যাডিশনাল এসপিদের থানায় কেন নিয়ে আসা হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমি যখন ছাত্র তখন দেখেছি একজন এসআই একটি থানা কন্ট্রোল করতো। এখন একজন প্রথম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার থানা কন্ট্রোল করছেন। একজন এএসপি একটি থানা মনিটর করছেন, একজন অ্যাডিশনাল এসপি দুইটা থানা মনিটর করছেন। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। মাদক অধিদপ্তরে তিন জেলা মিলে একজন একজন ইন্সপেক্টর ছিল, আমরা প্রতি জেলায় দিচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/বিইউ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :