ডোমিনিকান রিপাবলিক: মার্কিন পর্যটকদের মৃত্যুকূপ?

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০১৯, ০৯:৫১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিক মার্কিন পর্যটকদের জন্য মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে বেড়াতে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে নিহত হচ্ছেন মার্কিন পর্যটকরা।

সবশেষ নয় নম্বরে যে ব্যক্তিটি মারা গেছেন তিনি নিউজার্সির। ৫৫ বছর বয়সি জোসেফ অ্যালেন এর আত্মীয়রা বলছেন, জোসেফ স্বাস্থ্যবান ছিলেন এবং প্রায়ই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে ভ্রমণে যেতেন।

বেশ কয়েকজন পর্যটক যারা গত এক বছরে মারা গেছেন তাদের পরিবার বলছে যে তারা সেখানকার বার থেকে মদ পান করার পর অসুস্থ হয়ে পরে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে কোন প্রকার বিষক্রিয়া হচ্ছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এসব মৃত্যুর কোন যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।

জোসেফ অ্যালেনের পরিবার বলছে জুনের ৯ তারিখে তিনি টেরা লিন্ডা রির্সোটে যান তার একজন বন্ধুর জন্মদিন উৎযাপন করার জন্য। তার বোন এবিসি নিউজকে বলেন, ১২জুন জোসেফ তার বন্ধুদের বলেন তার অতিরিক্ত গরম লাগছে এবং তিনি গোসল করে একটু আগেই ঘুমিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিন তার দরজায় টোকা দিলে তিনি কোন সাড়া দেননি। এরপর দরজা খুলে দেখা যায় তিনি মাটিতে পরে আছেন। তার দেহ ঠাণ্ডা এবং শক্ত হয়ে আছে।

এখন তার পরিবার চেষ্টা করছে, আমেরিকাতে তার মরদেহ নিয়ে যেয়ে ময়নাতদন্ত করতে। যাতে করে মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটন করা যায়।

ক্যালিফোর্নিয়া থেকে রবার্ট বেল ওয়ালেস গিয়েছিলেন এপ্রিলের ১৪ তারিখ। ৬৭ বছর বয়সী রবার্ট সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই মাসে জন করকোরান তার হোটেলের রুমে মারা যান।

২৫মে মারা যান মিরান্ডা। মার্কিন গণমাধ্যমে সংবাদ বের হয় তিনি তার হোটেলের মিনিবার থেকে মদ পান করার পর মারা যান। ৪১ বছরের মিরিন্ডার মরদেহ পাওয়া যায় হোটেলে চেক ইন করার কয়েক ঘণ্টা পরেই।

মে মাসের ৩০ তারিখে নিজেদের হোটেল রুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সিনথিয়া অ্যান ডে এবং এডওয়ার্ডকে। স্থানীয় তদন্তকারীরা বলেছেন তাদের দু’জনের দেহের ভিতরে রক্তক্ষরণ এবং ফুসফুসে তরল পদার্থ পাওয়া গেছে।

এভাবে লেইলা কক্স, ডেভিড হ্যারিসন, ইয়াভেট মনিকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাক বলে জানা গেছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, একটা মৃত্যুর সঙ্গে আরেকটার কোন যোগসুত্র নেই। সবগুলোই বিচ্ছিন্ন এবং স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দেখছেন তারা। রাজধানী সানটো ডোমিনগোতে আমেরিকান দূতাবাস বলছে, তারা এখনো পর্যন্ত এক কেসের সঙ্গে আরেকটা কেসের যোগসুত্র পায়নি। ৭০ লক্ষের মত পর্যটক প্রতিবছর দেশটিতে যায় এর মধ্যে অর্ধেক যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

ঢাকা টাইমস/১৯জুন/একে