ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রির খাবার, ১০ জনের কারাদণ্ড
ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রির খাবার ও মাছের খাবার তৈরির অপরাধে হাজারীবাগে ১০ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে ছয়টি কারখানা সিলগালা করা হয় এবং ২৪ লাখ টাকা জরিমানা এবং ২৮০০ টন বিষাক্ত পোল্ট্রি ও ফিস ফিড জব্দ করা হয়েছে। র্যাব-২, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই অভিযান চালানো হয়।
বুধবার সকালে ঢাকাটাইমসকে এই তথ্য জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘চামড়ার বর্জ্যে ক্রোমিয়ামসহ ভারী ধাতু বিষাক্ত মাত্রায় বিদ্যমান। যে কারণে এসব ব্যবহৃত পোল্ট্রি খাবার খুবই ক্ষতিকর। তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। হতে পারে ক্যান্সার, লিভার সিরোসিসসহ মারাত্মক ব্যাধি।’
গত ২ এপ্রিল ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরির সকল কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়াও যারা ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরি এবং বিপণন করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে বিবাদী পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সারওয়ার আলম বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে পোল্টির খাবার তৈরির কাজ বন্ধ হচ্ছে না। তাই আমরা সেখানে অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে ১০ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৮০০ টন বিষাক্ত পোল্ট্রি ও ফিস ফিড জব্দ করা হয়েছে।’
ঢাকাটাইমস/১৯জুন/এসএস/এমআর