মাদারীপুরে ভোট পরবর্তী সহিংসতা

নৌকার ‘পক্ষে থাকায়’ যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জুন ২০১৯, ১৬:৪৫ | প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০১৯, ১৬:২৭

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের ছোট ভাইয়ের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

বুধবার বেলা একটার দিকে মাদারীপুর পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জসিড় গৌড়া পলাতক রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বেলা একটার সবুজবার এলাকার নদীর পাড় দিয়ে যাচ্ছিলেন নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও পৌরসভার ৩নং ওয়াড যুবলীগের সদস্য এরশাদ মুন্সী। এসময় ওঁৎ পেতে থাকা বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক ও যুবলীগ কর্মী জসিম গৌড়া তার দলবল নিয়ে এরশাদকে কুপিয়ে মারাত্মক জখন করে।

এ সময় এরশাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরশাদ সবুজবাগ এলাকার বেলায়েত মুন্সীর ছেলে। তিনি মঙ্গলবার মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনের ভোটে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজল কৃষ্ণ দের পক্ষে কাজ করেছেন।

অন্যদিকে জসিম গৌড়া বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের ছোট ভাই ওবাইদুর রহমান খানের সমর্থক-কর্মী। এর আগেও এরশাদ এবং জসিম দৌড়ার মধ্যে স্থানীয় প্রভাব নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

ঘটনার পর মাদারীপুর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই এলাকাসহ আশ-পাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, ‘নিহতের ঘটনার সাথে কে বা করা জড়িত, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে এ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কোন কারণে খুন হয়েছে, এখন তা বলা যাচ্ছে না। তবে যেই হত্যার সাথে জড়িত থাকুক না কেন, তদন্ত সাপেক্ষে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

তবে নিহতের মামা দাবি করা যুবলীগ নেতা কাওছার হোসেন বলেন, ‘এরশাদ নৌকার সমর্থক হওয়ায় জসিম গৌড়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এরশাককে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। জসিমের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নির্বাচনে আমাদের হত্যা করতে পারে, এই বিষয়টি পুলিশ সুপারকে বার বার বলা হলেও তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এটা পরিকল্পিত হত্যা। আমরা জসিমসহ খুনিদের বিচার দাবি করি।’

মঙ্গলবারের ভোটে চেয়ারম্যান পদে জেতেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের ছোট ভাই ওবাইদুর রহমান খান কালু। নৌকা প্রতীক না পেয়ে তিনি বিদ্রোহী হিসেবে ভোটে লড়েন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিব্দন্দ্বী হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে।

ঢাকাটাইমস/১৯জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :