ইউনিলিভারের বিরুদ্ধে ‘শ্যাম্পু প্রতারণার’ অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জুন ২০১৯, ২০:২৬ | প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০১৯, ১৯:১২

প্রসাধন কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শ্যাম্পু বিক্রিতে ঠকানোর অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন একজন গ্রাহক।

ওই গ্রাহকের অভিযোগ, তিনি গত ১৩ জুন দুই টাকায় ছয় মিলি লিটারের মিনিপ্যাক শ্যাম্পু কেনেন। অর্থাৎ এক টাকায় তিন মিলি লিটার পড়েছে। কিন্তু দুই দিন পর তিনি ৩৭৫ মিলিটারের ব্ল্যাক শাইন শ্যাম্পুর বোতল কেনেন, দাম পড়ে ২৯০টাকা।

এম রাশেদুল ইসলাম নামে ওই ভোক্তার দাবি, দুই টাকায় ছয় মিলিলিটার হিসেব করলে ২৯০ টাকার বিনিময়ে তার পাওয়ার কথা ৮৭০ মিলি লিটার শ্যাম্পু। কিন্তু ইউনিলিভার তাকে অর্ধেকেরও কম দিয়েছে।

কম পরিমাণে কোনো পণ্য কিনলে সাধারণত বেশি খরচ পড়ে। আর বেশি পরিমাণে কিনলে দাম কম পড়ে। কিন্তু এভাবে পরিমাণে বেশি কেনা গ্রাহকদের কাছ থেকে ‘অতিরিক্ত’ দাম রাখাকে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে উকিল নোটিশে।

মঙ্গলবার এই আইনি নোটিশটি পাঠানো হয় ইউনিলিভারকে। এতে বলা হয়, মিনি প্যাক এবং বোতলজাত শ্যাম্পুর মধ্যে কোনো পার্থক্যের কথা বলা নেই। দুটোই ‘ন্যাচারাল অয়েল সমৃদ্ধ এক্সক্লুসিভ ফর্মুলা’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। মিনি প্যাকের দর ধরলেও ৩৭৫ মিলিলিটার শ্যাম্পুর দাম হওয়া উচিত ১২৫ টাকা।

কিন্তু শ্যাম্পুর বিক্রয় মূল্য ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে ইউনিলিভার অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে নোটিশে বলা হয়। এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে নোটিশ পাঠানো গ্রাহক ইউনিলিভার এর কাস্টমার কেয়ারেও অভিযোগ করেন। তখন তাদেরকে বলা হয়, ৩৭৫ মিলিলিটার শ্যাম্পুর এ বোতল প্যাকেজিং এবং পরিবেশন খরচ যোগ হওয়ায় দাম ২৯০ টাকা ঠিক করা হয়। আর এর মূল্য কমানো সম্ভব নয়।

নোটিশে গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি দুঃখ প্রকাশ এবং যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও করা হয়। সেই সঙ্গে ‘সঠিকভাবে’ ব্যবসা পরিচালনার কথা বলা হয়।

দাবি পূরণ না হলে ‘শঠতা ও প্রতারণার’ অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

এম রাশেদুল ইসলামের হয়ে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মঙ্গলবার নোটিশে পাঠিয়েছি। আমার মক্কেল বলেছেন তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে।’

ইউনিলিভারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা ইউনিলিভারের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা এখনো জবাব দেয়নি।’

এ বিষয়ে ইউনিলিভারের বক্তব্য জানতে তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

ঢাকাটাইমস/১৯জুন/এসএস/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :