বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি চট্টগ্রামের পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০১৯, ২০:৩৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

পথে পথে পুলিশী চাঁদাবাজি, টো করার নামে ঘুষ বাণিজ্য, সড়কে অভিযানের নামে বিআরটিএর হয়রানি, বিআরটিএতে ঘুষ বাণিজ্য ও মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ও দাউদকান্দিতে ওজন স্কেল বসানোসহ হয়রানির প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধভাবে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

বুধবার সকালে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের পণ্য ও গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ২২টির অধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এ ঘোষণা দেন।

সভায় আগামী দিনগুলোতে পরিবহন সেক্টরে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবি নিয়ে আন্দোলন ত্বরান্বিত করার জন্য ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ নামে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মনজুরুল আলম মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুলের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী, বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি জহুর আহমেদ, মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক মিয়া, হাজী মো. ইউনুচ, সাধারণ সম্পাদক  আহসান উল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুসা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমেদ, সহ-সভাপতি বোরহান উদ্দিন, রাঙামাটি বাস মালিক সমিতির ছৈয়দ হোসেন কোম্পানি, চট্টগ্রাম-বাঁশখালী যানবাহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম চৌধুরী, পিএবি (পটিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালী) সড়ক যানবাহন মালিক সমিতির সভাপতি জাফর উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহিউদ্দিন চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কলিমউল্লাহ কলি প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, পথে পথে পুলিশি চাঁদাবাজিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা অতিষ্ট। তার উপর সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ টো বাণিজ্য শুরু করেছে। ট্রাফিক পুলিশের চাহিদামাফিক ঘুষ না দিলে গাড়ি টো করে হয়রানি করা হচ্ছে। সড়কগুলোতে ইদানিং বিআরটিএ অভিযানের নামে মোটর ভ্যাহিকেল অধ্যাদেশ না মেনে জেল-জরিমানার মাধ্যমে গাড়ির চালক শ্রমিকদের হয়রানি করছে। তাছাড়া সীতাকুণ্ড ও দাউদকান্দিতে ওজন স্কেল বসিয়ে চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য মহাসড়কে ২৬-৩০ টন পণ্য পরিবহন করা গেলেও চট্টগ্রাম থেকে ১৩ টনের অধিক পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। আবার স্কেলগুলোতে ঘুষ দিয়ে অহরহ পরিবহন চলাচল করছে। এতে সরকার একদিকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে একশ্রেণীর মাফিয়ারা লাভবান হচ্ছে। এসব হয়রানির প্রতিবাদে পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মনজুরুল আলম মঞ্জু বলেন, ‘পরিবহন সেক্টর ছাড়া একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে না। এজন্য পরিবহন সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে হবে। বর্তমানে পুলিশের ঘুষ, চাঁদাবাজি এবং বিআরটিএর হয়রানির কারণে বৃহত্তর চট্টগ্রামের পরিবহন মালিক শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন এসব হয়রানি বন্ধ না হলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে দাবি আদায় করব।’

(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/এলএ)