শনিবার দুই কোটি ২০ লাখ শিশু ভিটামিন ‘এ’ খাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০১৯, ১৭:৩৫

আগামী শনিবার দেশব্যাপী দুই কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এবার এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকাকেন্দ্র খোলা থাকবে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময়ে সচিবলায়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক স্বপন।

মন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান আগামী ২২ জুন শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করতে যাচ্ছে। এ দিনে ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৩৩ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আই, ইউ মাত্রা) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আই, ইউ মাত্রা) খাওয়ানো হবে।

মন্ত্রী আরো জানান, এই রাউন্ডে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল স্বল্পতার কারণে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল-এই তিনটি বিভাগের সকল জেলা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে শুধুমাত্র নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আই.ইউ) ক্যাম্পেইন হবে। এ ক্ষেত্রে ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে দুইটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে এবং ৬-১১ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে যথারীতি একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এই রাউন্ডে দুর্গম এলাকা হিসাবে চিহ্নিত ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদপড়া শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে না। তবে ক্যাম্পেইন পরবর্তী আরো চার থেকে পাঁচ দিন নির্দিষ্ট ইপিআই কেন্দ্র থেকে ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়ন এবং পার্বত্য জেলাসমূহে (রাঙামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি) বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন মন্ত্রী। এছাড়াও ‘ছয় মাসের কম বয়সী, পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যখন এই কার্যক্রম গ্রহণ করেন তখন ০৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ৩.৭৬ শতাংশ ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে তার হার শতকরা এক ভাগের নীচে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২০জুন/এএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :