কর ও ভ্যাট অব্যাহতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ

ঢাকাটাইমস প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০১৯, ১৮:৫৩

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। অতীতের সব বাজেটকে ছাপিয়ে বেড়েছে বাজেটের আকার, বেড়েছে প্রত্যাশা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব পেশ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওমর আলীর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশি অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং সেবা প্রতিষ্ঠান পিকমি লিমিটেড।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর গ্র্যান্ড প্রিন্স রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন রাইড শেয়ারিং সেবা প্রতিষ্ঠান পিকমি। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন পিকমি লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার বিজনেস অপারেশন্স শরিফুল ইসলাম তারেক।

তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজেট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার এবং এই বরাদ্দ হাজারো তরুণ তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তাকে স্বপ্ন দেখাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে বাজেটে সম্ভাবনাময় তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক পরিবহন সেবা খাতের কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। এবারের বাজেটেও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক পরিবহন সেবা ব্যবস্থাকে ভার্চ্যুয়াল ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের কথা বলা হয়েছে। এতে করে সম্ভাবনাময় রাইড শেয়ারিং সেবা খাত একদমই শেষ হয়ে যাবে। যেহেতু খাতটি এখনও বিকাশমান, উদ্যোক্তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিয়ে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাশাপাশি রাইডারদের অংশগ্রহণ, বাছাইকরণ, প্রশিক্ষণ, কল সেন্টার পরিচালনা, গ্রাহকদের আলাদা আলাদা সেবা এবং ব্যবস্থাপনায় আর্থিক বিনিয়োগ করে চলেছে, তাই এই সেবা খাত থেকে ভ্যাট অব্যাহতির দাবির পাশাপাশি এই সেবা ব্যবস্থাকে ‘ভার্চুয়াল ব্যবসা’র পরিবর্তে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

পাশাপাশি রাইড সেবা প্রদানকারী মোটরযান মালিকদের উৎসে কর ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৪ ও ৫ ভাগ এ উন্নিত করার সুপারিশ করা হয়েছে যা একদিকে সম্ভাব্য ভাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করবে ও এই শিল্প বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। এ খাতের সেবার পরিমাণ ২৫ লাখ টাকার কম হলে ৪ ভাগ হারে উৎসে কর দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছর এটি তিন ভাগ রয়েছে। আর ২৫ লাখ টাকার বেশি হলে ৪ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৫ ভাগ করার কথা বলছে এনবিআর।

জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০২০ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় শরিফুল ইসলাম তারেক বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চ্যালেঞ্জ যেমন আছে, তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়নও আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার ব্যবস্থা করা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে অবদান রাখা, তীব্র আয়-বৈষম্য কমাতে ভূমিকা রাখা, গতানুগতিক পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকরণে কাজ করা, কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন মানবসম্পদ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখা এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করা এ সেবা খাতের বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য আগামী পাঁচ বছর এ খাতকে ভ্যাট ও করমুক্ত রাখার সুপারিশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পিকমি লিমিটেডের পরিচালক মেশকাত হোসেন, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার বিজনেস অপারেশন্স নিজাম উদ্দিন জাবেদ, হেড অব ফাইন্যান্স তারিক হাসান রুবেল ও এসিস্টেন্ট ম্যানেজার অপারেশনস শাকিল আহমেদ।

(ঢাকাটাইমস/২০ জুন/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা