কী দেখছি কী শুনছি

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৯, ১৬:০১ | আপডেট: ২১ জুন ২০১৯, ১৬:০৪

আরিফুর রহমান দোলন

জাতীয় সংসদে পাশাপাশি আসনে বসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। সংসদ অধিবেশনে যোগদান করলে কেউ কাউকে এড়িয়ে যাবেন সেই সুযোগ নেই। দেখা হবেই, হতেই হবে- আসন বণ্টনের কারণেই।

মতিয়া চৌধুরী বসেন সংসদে সরকারি দলের জন্য সংরক্ষিত সামনের সারির তিন নম্বর আসনে। আর চার নম্বর আসনে বসেন অর্থমন্ত্রী। সেই মতিয়া চৌধুরী ২০ জুন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়ানোয় অর্থমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী। বলেন, ‘পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্কিম, ওখানে আপনি হাত দিলেন কেন?  এটা আমি সমর্থন করতে পারছি না।’

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্পর্শকাতর কথা বলবো। এতগুলো ভালো কাজ করার পর আপনি এমন একটি ব্যবস্থা নিলেন, যেটা আমি অন্তত সমর্থন করতে পারছি না। ক্ষম হে মম দীনতা। গত ৫-৬ বছর বলে বলে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ৯ শতাংশ হয়েছে। ৯ শতাংশ রাখলেন ঠিক, কিন্তু উৎসে কর পাঁচ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ করলেন। এই জিনিসটা আমি সমর্থন করতে পারি না। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে আরও কিছু যুক্তি তুলে ধরেন বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেত্রী। ঘটনাটি খুবই ছোট। কিন্তু যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। আমার কাছে মনে হয়েছে এর সুদূরপ্রসারী কিছু প্রভাবও থাকবে। যদি না এখনই দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এর রাশ টেনে না ধরেন।

মতিয়া চৌধুরী কি শুধুই সাবেক কৃষিমন্ত্রী? তিনি দলের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য। মনোনয়ন বোর্ডেরও সদস্য। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়েই মতিয়া চৌধুরী দলের অন্যতম নীতিনির্ধারক হিসেবে স্বীকৃত। পাশাপাশি সারা দেশে তার একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রয়েছে। ১৫ বছর মন্ত্রিত্ব করেও অতি সাধামাঠা জীবনযাপন করে তিনি সাধারণ মানুষেরই একজন, এই ইমেজ তৈরি করেছেন সব মহলেই। এমনকি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় কারওয়ান বাজারে গিয়ে নিজ হাতে বাজারের থলি নিয়ে তার কেনাকাটা করার দৃশ্যগুলো ‘আমি তোমাদেরই লোক’  স্লোগানেরই সমার্থক হয়ে ওঠে।

রাজনীতিবিদ হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর বাইরে গ্রহণযোগ্যতায় সবসময়ই এগিয়ে মতিয়া চৌধুরী। আর তার মুখেই যখন নিজ দলের সরকারের নীতির সমালোচনা শোনা যায়, তখন একটু নড়েচড়ে বসতে হয় বৈকি? প্রথমত, এমন একটি বিষয় নিয়ে মতিয়া চৌধুরী সংসদে অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন, যা খুব সহজেই ভুক্তভোগী লাখ লাখ মধ্যবিত্তের হৃদয় স্পর্শ করবে। পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর ৫ শতাংশ বৃদ্ধি মধ্যবিত্তের আয়ের ওপর ভাগ বসাবে, স্বাভাবিকভাবেই এটি তাঁরা পছন্দ করছেন না।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় সেই বিষয়টিই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ইস্যু নিয়ে এভাবে সংসদে কথা বলায় তাকে নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হবে, সন্দেহ নেই। প্রশ্নটা এখানেই।

পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে উৎসে অতিরিক্ত কর আরোপের নেতিবাচক দিক নিয়ে মতিয়া চৌধুরীর মতো বর্ষীয়ান দলীয় নীতিনির্ধারকেই মুখ খুলতে হলো কেন? চাইলে এক বা একাধিক সাংসদকেও তো এই বিষয় নিয়ে বক্তব্যে রাখানো যেত। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেও অতিরিক্ত কর প্রস্তাব প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। কিন্তু পাশাপাশি আসনে বসা সরকারি দলের প্রভাবশালী দুই সদস্য অর্থমন্ত্রী ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করে নিতে পারতেন। কিন্তু খোদ জাতীয় সংসদে বিষয়টি প্রকাশ্যে উত্থাপন করায় একটি বিষয় কিন্তু প্রমাণ হয়ে গেল যে, সরকারের নেওয়া নীতি, পদক্ষেপে দলের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ একমত নন। বিষয়টি কি বার্তা দেবে সব মহলে? এটি আমার এবং আমার মতো অনেকের ভাবনা।

এমনিতেই দলের সিনিয়র নেতারা দলের বর্তমান মন্ত্রিসভায় না থাকায় আড়ালে আবডালে নানা সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ ও দক্ষতায় কম পরীক্ষিত মন্ত্রিদের কেউ কেউ কাজে কতটা ভালো করছেন, করবেন সেই কৌতূহল সর্বত্রই। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেত্রী মতিয়া চৌধুরীর অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা নতুন আলোচনার খোরাক তৈরি করবে কি না, এই প্রশ্ন ইতিমধ্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা করা শুরু করে দিয়েছেন।

এর আগে একবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আরেক বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নতুন মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদেস্যের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘কেউ কেউ হিরো সাজার চেষ্টা করছেন। হিরো সাজার চেষ্টা করবেন না। এমন ভাব করছেন যে, আগের মন্ত্রীরা কোনো কাজই করেননি। অথচ খোদ প্রধানমন্ত্রী আগের মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রশংসা করেছেন’। এই বক্তব্যে সিনিয়রদের কারো কারো যথাযথ সম্মান না পাওয়ার ইঙ্গিত ছিল বলে মনে করা যায়। সাবেক কৃষিমন্ত্রীর সংসদে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা সেই বক্তব্যের ধারাবাহিকতা কি না সেটি হয়তো সময়ই বলে দেবে।

কিন্তু এসব কী দেখছি কী শুনছি! ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। যেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজকে নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য আছে। এমনকী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর ডানহাত খ্যাত তাজউদ্দিন আহমেদকে নিয়েও ছেড়ে কথা বলেননি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভাগ্নে সৌরভের অপহরণ নিয়ে সোহেল তাজের বারবার ফেসবুক লাইভে আসা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ পদ থেকে তার পদত্যাগ নিয়ে যেমন সিদ্দিকী নাজমুল আলম ফেসবুক পোস্টে প্রশ্ন তুলেছেন, তেমনি প্রশ্ন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভা থেকে তাজউদ্দিন আহমেদের সরে যাওয়া নিয়েও।

এ নিয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা বিতর্ক চলছে। মুক্তিযুদ্ধের এতবড় একজন সংগঠক এবং সোহেল তাজের মতো একজন ক্লিন ইমেজের নেতাকে নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীরও সামাজিক, রাজনীতিক গ্রহণযোগ্যতা থাকা উচিত এসব মন্তব্য আসছে। বলা নেই কওয়া নেই সুদূর প্রবাসে থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিতর্ক তৈরি করে দেওয়ার মতো মন্তব্য করতে গেলেন কেন? স্বভাবতই এই প্রশ্ন আসছে।  কী কারণে সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন? কোন পরিস্থিতিতে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গেলেন তিনি? এই প্রশ্নের জবাব আজও অমীমাংসিত। যদিও লোকমুখে শোনা যায় সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে তাঁকে তাঁর দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কেউ কেউ।

আওয়ামী লীগের প্রতি ভালোবাসা, দরদ আর মমতার কারণে এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা থেকে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কখনো। নীরবে সরে গেছেন। সোহেল তাজের সততা প্রশ্নাতীত। ব্যক্তিত্ব রয়েছে। রয়েছে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে এখনো তার গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্ট।

সাধারণ মানুষের কাছেও তিনি শ্রদ্ধেয় একজন রাজনীতিক। আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের কাছে তার এক ধরনের চাহিদা আছে এবং এখনো তৃণমূল স্তরে মনে করা হয়, সোহেল তাজদের মতো পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতাদেরই বঙ্গবন্ধু তনয়ার পাশে দরকার। সেই সোহেল তাজ যখন দেশে ফিরে এসেছেন, একটু একটু করে সক্রিয় হয়ে উঠছেন, সেটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই। এভাবে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আঁতে ঘা দিয়ে হিরো সাজার চেষ্টা কেন? এসব কী দেখছি!

বিভিন্ন খবরের কাগজ ও অনলাইন গণমাধ্যমে খবর দেখলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর মা সামসুন নাহার তসলিম। সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, মেয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। উত্তরা ও নীলফামারীতে সম্পত্তি নিয়ে নিয়েছেন নানা কৌশল করে। যদিও তুরিন আফরোজ দাবি করেছেন, এসব সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এর আগেও আসামির সঙ্গে বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই আইনজীবী। এবার খোদ জন্মদাত্রী মা বলছেন নিজের স্বামীর বাড়ি থেকে মেয়ে তুরিন আফরোজ তাঁকে বের করে দিয়েছেন। বিষয়টি আমার কাছে স্বাভাবিক ঠেকে না। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভাবমূর্তির প্রশ্ন। সেখানকার একজন আইনজীবী এভাবে বারবার বিতর্কে জড়াবেন কেন? যার নিজের মা সংবাদ সম্মেলন করে বলবেন, মেয়ে বাড়ি থেকে তাঁকে বের করে দিয়েছে। তাঁকে কীভাবে রাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখবে? কেন তিনি ওই পদে থাকবেন? এটি তো নৈতিকতারও প্রশ্ন! হচ্ছে কী এসব।

পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের খবরও ফলাও করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে

প্রচার হয়েছে। যে কর্মকর্তা প্রকাশ্যে দাবি করলেন তিনি দুদক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন, তিনি এখনো পদে বহাল। নারী সাংবাদিককে নিগ্রহ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, দ্বিতীয় বিয়েসহ নানা অনিয়ম যার বিরুদ্ধে প্রমাণিত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রীতিমতো গড়িমসি করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অনেকগুলো ধাপ পার হতে হয়। এরপর ফাইল চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। বিজ্ঞ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জ্ঞাতার্থে বলছি, তাঁর দপ্তরের বহু ফাইল এভাবে অনুমোদনের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল ধাপ, প্রক্রিয়া শেষ করে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে গেছে। আবার দিনে দিনে অনুমোদন হয়ে বঙ্গভবন থেকে ফিরেও এসেছে। এক্ষেত্রে পুলিশেরই একটি উদাহরণ দেব।

জনৈক একজন ডিআইজির অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতির জন্য ডিআইজি পদে থাকার নূন্যতম সময়সীমা প্রমার্জনের বিষয়টি ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বঙ্গভবনে যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। বঙ্গভবনে থেকে ফাইলটি দিনে দিনে অনুমোদন হয়েও আসে। এখনো বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মুখে মুখে। আর যখন আমলযোগ্য ফৌজদারি অপরাধের বিষয়টি একজন ডিআইজি প্রকাশ্যে গণমাধ্যমের কাছে বললেন, সারা দেশের মানুষ জানলো, তখন তার শাস্তির প্রশ্নে ফাইল অনুমোদনে নানা প্রক্রিয়া আর ধাপের কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি একদিকে যেমন আমলাতন্ত্রের এফিসিয়েন্সির, আরেকদিকে সরকারের রাজনৈতিক অংশের নেতৃত্বের সদিচ্ছার প্রশ্নও বটে। আর প্রশ্ন পুলিশের ভাবমূর্তির।

সচিবালয় থেকে বঙ্গভবন কতদূর? ডিআইডি মিজানের শাস্তির জন্য ফাইল প্রক্রিয়া শেষ হয় না কেন দিনে দিনে। ধাপে ধাপে দিনে দিনে ফাইলের কাজ শেষ করার উদাহরণ হাজার হাজার কি সচিবালয়ে নেই?  সরকারের ভাবমূর্তিকে কৌশলে নষ্ট করার অপচেষ্টা নয়তো এসব? যা হচ্ছে তা কিসের লক্ষণ?

লেখক: সম্পাদক, দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস২৪ ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময়।