সওজ নির্বিকার, তাই সড়ক মেরামতে ডিসি, পৌর মেয়র

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৯, ১৭:২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঝিনাইদহ শহর। বৃহস্পতিবার মধ্য রাত। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছাড়িয়েছে। রাস্তার কাজ চলছে। আর তা দেখতে রাস্তায় উৎসুক জনতার ভিড়। কী হচ্ছে?

মানুষের এই ঔৎসুক্যের কারণ, রাস্তায় পিচসহ পাথর ঢেলে তা সমান করতে রোলারের স্টিয়ারিং হাতে থাকা ব্যক্তি। তিনি যে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। তাকে সাহায্য করছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু।

মধ্যরাতে ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়, সুইট হোটেলের সামনে ও বালিকা বিদ্যালয় সড়ক মেরামতের কাজ চলছে। রাত তিনটা পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভাঙাচোরা এই রাস্তা মেরামত করে দুই জন বাড়ি ফেরেন।

মধ্যরাতে উপস্থিত হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসন বলেনন, ‘জেলা প্রশাসক এবং পৌর মেয়রের এই কাজ ব্যতিক্রমই বটে।’

কিন্তু জেলা প্রশাসক এবং পৌর মেয়র কেন এই কাজ করবেন? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, যাদের করার কথা, সেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ হাত গুটিয়ে বসে। অথচ স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বারবার গেছে অনুরোধ। কিন্তু কাজ হয় না। তাই ‘শিক্ষা দিতে’ নিজেই স্টিয়ারিং তুলে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এই কাজ করার কারণ জানতে চাইলে পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি ছয় মাস ধরে মেরামতের জন্য বলা হচ্ছে। এ নিয়ে সমন্বয় কমিটির চারটি সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু স্বার্থ না থাকায় সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এই রাস্তা করেনি। জনস্বার্থকে তারা উপেক্ষা করেছে। বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের অনুরোধে ঝিনাইদহ পৌরসভার মালামাল ও লোকবল দিয়ে রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের যোগ্য করা হয়।’

পৌর মেয়র জানান, রাতের বেলায় এই রাস্তা সংস্কারে তাদের পাশাপাশি হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। অনেকে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়েছেন।

কেন রাস্তাটি মেরামত করা হয়নি?- দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কাজ করতে তো সময় লাগে। এ জন্য সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দেরি হচ্ছে।’

‘আমরা রাস্তাটি মেরামত করতে ১৪ লাখ টাকার টেন্ডার করেছি। সিএস অনুমোদন হয়ে এসেছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি)