আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আকনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন আকন সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন আকন বলেন, ‘২০০৩ সালের ২৭ মে জনৈক মহারাজ তালুকদার ও লিটন তালুকদারের কাছ থেকে প্রায় একশ ২০ শতক জমি কেনেন তিনি। সেই থেকে তিনি এই জমি ভোগ দখল করে আসছেন। গত ১৭ জুন আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দীন আকনের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন লোক আমার ওই জমি অবৈধভাবে দখল করে ২৬টি সীমানা পিলার বসিয়ে দিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আমি অসহায় হয়ে পড়েছি।’
জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আকন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘১৯৬৫ সালে আমার দাদা খবির উদ্দীন আকন ওই জমিটি নিলামে ক্রয় করেন। সেই থেকে আমার দাদা জমির খাজনা দিয়ে আসছেন। আমার দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি অনেক হওয়ায় অধিকাংশ এলাকার জমিতেই সীমানা নির্ধারণ করা নেই। দীর্ঘদিন ধরে আমার এই জমি রুহুল আমিন আকন নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। এই জমির সব বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে। গত ১৭ জুন স্থানীয় আমিন নিয়ে আমি ম্যাপ ধরে আমার জমি মেপে ২৬টি সীমানা পিলার দিয়ে আমার জমি অবৈধ দখলমুক্ত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘রুহুল আমিন আকন যার কাছ থেকে জমি কিনেছেন বলে দাবি করছেন তার কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। তিনি ওই জমি কিনে প্রতারিত হয়েছেন।’
(ঢাকাটাইমস/২২জুন/এলএ)