৩৮ বছরেও ছাত্রদলের নেতা থাকতে চান তারা

ছাত্রদলে নেতৃত্বে বয়স্কদের রাখার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। যারা এই দাবি নিয়ে সামনে এসেছেন, তাদের প্রশ্ন, ৩৮ বছর বয়স হলে কেন ছাত্রদলের নেতা হওয়া যাবে না।

এই দাবি যারা সামনে নিয়ে এসেছেন, তাদের দাবি, সারা বিশ্বেই ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে বয়স্করাই থাকে। নিয়মিত ছাত্ররা সেখানে স্থান পায় না। ছাত্রদলে এর অন্যথা হওয়ার যুক্তি নেই।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, নতুন নিয়মে নেতা হতে ২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।

ওই সালে যারা এসএসসি দিয়েছে তাদের বয়স ৩৫ বছর।৩৫ বছরে যদি ছাত্রদল করা যায়,তাহলে ৩৭-৩৮ বছরে কেন করা যাবে না- এটাই প্রশ্ন তাদের।

শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির একাংশের নেতারা এ দাবি জানান।

ছাত্রদলের গত কমিটির সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, ‘২০০০ সালের এসএসসির বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে। কারণ ২০০০ সালে এসএসসি পাস করা একজন ছাত্রের আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তার মাত্র ২-৩ বছর আগে ৯৮/৯৭/৯৬ সালে এসএসসি পাস করা সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকরা রয়েছেন। ৩৫-৩৬ বছর বয়সে ছাত্রদল করা গেলে ৩৭-৩৮ বছর বয়সে কেন করা যাবে না?’

প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠন নেতৃত্বে আসার সর্বোচ্চ বয়স ৩০। তবে ছাত্রদলে ‘বুড়োরাও’ নেতৃত্বে আছেন। যদিও বিএনপি তার ছাত্র বিষয়ক সহযোগী সংগঠনে বয়স সীমা কমাতে চায়।

তবে এ নিয়ে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে ছাত্রদলের একাংশ। তাদের দাবি, এই বয়স নির্ধারণ করে দেওয়ার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সবাইকে বাদ দিয়ে সিন্ডিকেটের ব্যক্তিকেন্দ্রিক বয়স নির্ধারণ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মোটেও মেনে নিতে পারছে না।

লিখিত বক্তব্যে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ইকতিয়ার রহমান কবির বলেন, ‘দেশের কোনো ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে গঠিত হয় না। এর মধ্যে ছাত্রদলের নেতৃত্বের বয়স অপরাপর ছাত্র সংগঠনের তুলনায় তুলনামূলকভাবে একটু বেশি।’

ছাত্রদলের দুই বছর মেয়াদি কমিটি পাঁচ বছর চললেও বিএনপি কেন হস্তক্ষেপ করেনি, সেই প্রশ্নও তোলা হয় সংবাদ সম্মেলনে। জানান, তারা ছয় মাসের জন্য একটি কমিটির আবেদন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে করেছিলেন। এতে দল তার কর্মীদের বর্তমান ও ভবিষ্যতে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার পাশাপাশি, এখন দেশব্যাপী বেশকিছু অসমাপ্ত সাংগঠনিক কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ পাবে বলে বিশ্বাস তাদের।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণের জন্য ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। রবিবার আমাদের কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সোমবার থেকে আবার আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি মামুন বিল্লাহ, জয়দেব জয়, কবির হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ,বায়েজিদ আরেফিন, মফিজুর রহমান আশিক, আবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/বিইউ/ডব্লিউবি)