এফআর টাওয়ার মামলায় রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যানের জামিন

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৯, ১৬:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।

আজ রবিবার দুপুরে তিনি ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ ও জামিনের আবেদন করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা বন্ডে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে এফআর টাওয়ারে অবৈধভাবে নির্মিত ১৯ তলা থেকে ২৩ তলার মালিক বিএনপির নেতা তাসভিরুল ইসলাম (৬৬) আটকের ১০ দিন পর গত ১১ এপ্রিল এবং জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক গত ৬ মে এক মাস ৫ দিন পর জামিন পান। আর আসামি লিয়াকত আলী পলাতক থেকে সরাসরি আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন।

গত ৩০ মার্চ দিবাগত রাতে তাসভিরুল ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ৮ এপ্রিল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তাসভির কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ণ (এফআর) টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে ১ জন মারা যায়। ওই ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্থি হয় আরও ৭৩ জন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত ফায়ারম্যান সোহেল মারা যান। 

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক, টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম এবং রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এফআর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লোভে নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন এবং জানমালের নিরাপত্তার বিষয় লক্ষ না রেখে চরম অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে এফআর টাওয়ারে মর্মান্তিক ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। 

১৯৯৬ সালে এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দেয়া হয় ১৮ তলার। পরে সেটি ২৩ তলা করা হয়। ২০০৫ সালে এফআর টাওয়ারের মালিকপক্ষ রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা জমা দেয়।

ঢাকাটাইমস/২৩জুন/মোআ