দুই-একজনের খারাপ কাজের দায় নেব না: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ১৭:১০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ১৯:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাহিনীতে দুই-একজন খারাপ কাজ করলে সেই দায় পুলিশ নেবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’ বিষয়ে এক কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আড়াই লক্ষ পুলিশের মধ্যে একজন দুইজন কুলাঙ্গার থাকতে পারে। কিন্তু তাদের অপেশাদার আচরণ পেশাদার সংগঠনের উপর চাপানো ঠিক হবে না।’

‘সকলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ রাখব, আড়াই লক্ষ পুলিশের একজন দুইজন কুলাঙ্গার খারাপ কাজ করলে সেই দায় একটা বিভাগের উপর বা একটা পেশাদার সংগঠনের উপর চাপানো ঠিক হবে না।’

গত রোজায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের সদস্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে ইফতার করেছে। সাধারণ রোজাদাররা যাতে প্রিয়জনদের সঙে ইফতার করতে পারে সে ব্যবস্থা করেছে। ঈদ আসলে আমরা পুলিশ সদস্যদের বলে দেই তোমাদের ঈদের ছুটি বন্ধ। তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার অনেক শখ।’

পরিবারের সঙ্গে কতবছর ঈদ উদযাপন করেন না সেটা ভুলে গেছেন ডিএমপি প্রধান। বলেন, ‘আমার সহকর্মীদেরও একই অবস্থা। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, ভ্রান্তি থাকতে পারে কিন্তু কর্মঘণ্টার বাইরে গিয়ে দেশের জন্য, জাতির জন্য নিরাপদ যেভাবে শ্রম দিচ্ছি সেটা জনগণ বিবেচনায় রাখবে।’

‘সঙ্গে ভালো কাজে আমাদের উৎসাহিত করবে সেটা আমরা প্রত্যাশা করব। কেউ যদি খারাপ কাজ করে ব্যক্তিস্বার্থে সেই দায় আমরা নেব না।’

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমনে সাংবাদিকদের প্রশংসা করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিশাল অবদান আছে। তাদের সমর্থক আমরা সব সময় পেয়েছি। আশা করি, এই সমর্থন সব সময় থাকবে।’

ডিএমপির কাছে ৬৫ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটা অত্যাধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করেছে। এই সিস্টেমে আমাদের ৬৫ লক্ষ নাগরিকের তথ্য রয়েছে। নতুন করে আরও  পাঁচ লাখ নাগরিকের তথ্য যুক্ত হবে। তথ্য ডাটাবেজের মাধ্যমে অপরাধ, অপরাধ উদঘাটন, অপরাধীদের শনাক্ত করে একটা টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আর এটা প্রণয়নই আমাদের লক্ষ্য।’

‘নাগরিকের তথ্য নিজ দায়িত্বে থানায় দিন, তাহলে আমরা বুঝতে পারব কেউ ঢাকা শহরে এসে পরিচয় গোপন রেখে কোন অপরাধী মাথাচাড়া দিতে পারবে না।’

এই উদ্যোগের সুফল তুলে ধরে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘হলি আর্টিসানের পর আমরা নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এই কারণে এমন আপরাধ আর ঘটেনি। রাজধানীতে কোন অপরাধী, জঙ্গি লুকাতে পারেনি। তবে মফস্বলে এটা হয়েছে। সুতরাং এই প্রিয় নগরিকে যদি নিরাপদ রাখতে হয় তাহলে সবার সহযোগিতা দরকার।’

জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাসা বাড়িত, অফিসে সিসি ক্যামেরা বসানোর আহ্বানও জানান ডিএমপি প্রধান। বলেন, ‘এটা নীরবে নিভৃতে আপনাকে পাহারা দিচ্ছে, নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এসএস/ডব্লিউবি