বেতন বাড়লেও দুর্নীতি কেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ১৮:০০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ১৮:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাটাইমস

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়লেও দুর্নীতি কেন কমেনি, সেই প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত। বেতন বাড়লেও দুর্নীতি না কমার বিষয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের পর এই ইস্যুতে কথা বলল হাইকোর্ট।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না- এ নিয়ে একটি স্বপ্রণোদিত রুলের শুনানি চলাকালে সোমবার আদালত এই প্রশ্ন তোলে।

বিচারপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলে, দেশ থেকে অবশ্যই দুর্নীতি দূর করতে হবে।

বিচারকরা বলেন, দেশে কোনো দুর্নীতি থাকবে না এবং প্রজাতন্ত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এমন স্বপ্ন নিয়ে ৪৮ বছর আগে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে। যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে দেশ উন্নত হবে না এবং এগিয়ে যেতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন শতকরা ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তাদের গাড়ি, বাড়ির জন্য স্বল্প সুদে ঋণ, সন্তানদের শিক্ষা ভাতা, নববর্ষের উৎসব ভাতাসহ আনুসঙ্গিক নানা সুযোগ সুবিধাও বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার আশার কথা তুলে ধরে বলেছেন, কর্মীরা জনগণের জন্য সৎভাবে কাজ করবে।

 

তবে রবিবার রাজধানীতে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জানিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ শাখা টিআইবি বলছে, সরকারি চাকুরেদের দুর্নীতি কমার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতির প্রমাণ মেলেনি।

পরদিন হাইকোর্ট বলে, সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং দেশকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি যে সড়ক দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্যে গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে তাদের বিবেককে জাগিয়ে তুলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী দেশের সব খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন বলেও হাইকোর্ট বেঞ্চ মন্তব্য করেছেন।

ফিটনেসহীন গাড়ির বিস্তারিত তথ্য তলব

ঢাকাসহ ফিটনেস-লাইসেন্স নবায়ন না করা গাড়ি ও চালকের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশে থাকা লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন চার লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি ও লাইসেন্স নবায়ন না করা চালকদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে বিআরটিএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও এক মাসের মধ্যে জানাতে হবে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে এ আদেশ পালন করতে হবে।

সোমবার বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানী আদালতে হাজির হওয়ার পর এ আদেশ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক। বিআরটিএ এর পক্ষে ছিলেন মঈন ফিরোজী ও রাফিউল ইসলাম।

আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আদালতে বিআরটিএর আইনজীবী জানান, সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ীর সংখ্যা চার লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ এবং ঢাকা শহরে এক লাখ ৬৮ হাজার ৩০৮টি। তবে বিআরটিএ এর লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির সংখ্যা জানার সুযোগ নেই। এটি রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি বলতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/বিইউ/ডব্লিউবি)