মেয়াদহীন ওষুধ পেলেই ফার্মেসি ‘সিলগালা’

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ২০:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে সেই ফার্মেসি সিলগালা করা হবে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। বলেছেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি। এটা নিয়ে কেনো হেলাফেলার সুযোগ নেই।’

সোমবার পুরান ঢাকায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আপনার সন্তানকে (ওষুধ ব্যবসায়ী) কি আপনি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়াবেন? আপনার সন্তানকে যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ না খাওয়ান তবে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখেন কেন? ফার্মেসিতে অভিযানে গেলেই দুই বছরের বেশি সময় আগের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়।’

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ফার্মেসিতে আনরেজিস্ট্রার্ড ও নকল ওষুধ রাখা যাবে না। ৩৯টি ওষুধের লিস্ট আছে। এসব ওষুধ বাদ দিতে হবে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না।’

ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে ওষুধ প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে প্রতিটি বিভাগে সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করা হবে। আগামী ২৬ জুন রাজশাহীতে ফার্মেসি কর্মীদের নিয়ে সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করা হবে। তাদের ট্রেনিং করানো হবে। ফার্মেসি সার্টেফিকেট প্রশিক্ষণ কোর্স করানো হবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট এক মাসের মধ্যে সব ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরাতে বলছে। বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে সব ওষুধ কোম্পানিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত দিতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এসএস/এএ/জেবি)