ছাত্রদলের কাউন্সিলে পোস্টার-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ২০:৫৪ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ২০:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় (ফাইল ছবি)

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলের জন্য প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা এবং আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা প্রার্থী হবেন তাদের অবিবাহিত হতে হবে। প্রার্থীরা লাগাতে পারবেন না পোস্টার। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়া, সংবাদ সম্মেলন করা এবং সভাও করতে পারবেন না প্রার্থীরা।

সোমবার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আচরণবিধিতে বলা হয়েছে-

১. প্রত্যেক প্রার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতে হবে। কোনোভাবেই প্যানেল দেয়া যাবে না।

২. কোনো প্রকার পোস্টার, ব্যানার এবং গণমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না।

৩। কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ আপ্যায়ন বা কোনো ধরনের উপহার সামগ্রী দেয়া যাবে না।

৪। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার, সংবাদ সম্মেলন ও টকশোতে কোনো প্রার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

৫। প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনার জন্য শুধু ভিজিটিং কার্ড বা সাদাকালো এ-ফোর সাইজের লিফলেট ব্যবহার করতে পারবেন।

৬। নির্বাচনের দিন প্রার্থীরা অথবা তার কোনো সমর্থক কোনো প্রকার মিছিল, সমাবেশ, প্লেকার্ড, স্লোগান, ভিজিটিং কার্ড এবং লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থনা করতে পারবেন না।

৭। কোনো প্রার্থী উল্লিখিত আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

প্রার্থীর যোগ্যতা

১। প্রার্থীকে ২০০০ সালের এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। তবে রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই ১৯৯৮ সালের হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রমাণের জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশন কপি জমা দিতে হবে।

২। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রত্ব আছে এমন প্রমাণপত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে। প্রার্থীকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে এবং পাসের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। প্রমাণের জন্য সব সার্টিফিকেটের মূলকপি সাথে আনতে হবে।

৩। প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।

৪। প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট থেকে প্রাথমিক সদস্য সাবেক অথবা বর্তমান পদের প্রত্যায়নপত্র দাখিল করতে হবে।

৫। কোনো প্রার্থী কাস্টিং ভোটের ১০ শতাংশ ভোট না পেলে পরবর্তী কমিটিতে কোনোভাবেই অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।

৬। প্রত্যেক প্রার্থীকে অবশ্যই সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের পাঁচ কপি রঙিন ছবি সত্যায়িতসহ দাখিল করতে হবে।

৭। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।

যারা ভোটার হবেন

(ক) পূর্ণাঙ্গ কমিটির ক্ষেত্রে

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রথম সহ-সভাপতি, প্রথম যুগ্ম সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকসহ এই পাঁচজন ভোটার হবেন।

(খ) আহ্বায়ক কমিটির ক্ষেত্রে

আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ কমিটির প্রথম তিনজনসহ মোট পাঁচজন ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন।

প্রার্থীরা ১৩ জুলাই শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/বিইউ/জেবি)