মাগুরার সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুই মামলা

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ২০:৫৬

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মাগুরার বিতর্কিত সেই চিকিৎসক মাসুদুল হকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল-১ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার মামলা দুটি করেছেন দুই ভুক্তভোগী। দুই ভুক্তভোগী হলেন- মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও ঝিনাইদহ জেলার হাটগোপালপুরের তিওড়দাহ গ্রামের মিঠুন কুমার।

বাদী পক্ষের আইনজীবী নিলুফার খাতুন জানান, মামলার ভিকটিম মিতু রাণী বিশ্বাস গত বছরের ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রসূতি অবস্থায় সদর হাসপাতালের সামনে এলে ডাক্তার মাসুদুল হকের নিযুক্ত দালালরা ভুল বুঝিয়ে হাসিনা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার মাসুদুল হক মিতুর সিজার করার সময় বলে পেটে টিউমার আছে। এটি অপারেশন করতে হবে জানিয়ে ২২ হাজার টাকা দাবি করে এবং অপারেশন করে একটি কন্যা সন্তান নেয়। কিছুদিন পরে মিতুর পেটে ব্যথা ও যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে। আসামি মিতু ও তার পরিবারকে বলে এতে কোনো সমস্যা হবে না। কয়েকদিন পর সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু মিতুর অবস্থা দিনদিন অবনতি ঘটতে থাকে। এ বিষয়ে মিতু ডাক্তার মাসুদুল হকের কাছে গেলে তিনি কোন পাত্তা দেননি। পরে মিতুকে নিয়ে তার ভাই মামলার বাদী মিঠুন কুমার ভারতে গেলে ডাক্তারা জানান, অপারেশনের স্থানে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে।

অপর একটি মামলার বাদী ভুক্তভোগী মাগুরা শহরতলীর পারনান্দুয়ালী গ্রামের সাইফুল অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের ১৪ জুন সড়ক দুর্ঘটনায় তার পা ভেঙে যায়। ১৬ জুন সকালে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে হাসপাতালের গেটের সামনে থেকে ডাক্তার মাসুদুল হক ও তার স্ত্রী জাহানারাসহ নিযুক্ত লোকজন তাকে কম খরচে ভালো চিকিৎসার কথা বলে তাদের মালিকাধীন জাহান ক্লিনিকে নিয়ে যায় এবং পায়ের চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। তাদের কথায় বিশ্বাস করে এক লাখ টাকা দিই। পরে অপারেশন করা হলে পায়ের দুই ইঞ্চি হাড় কেটে ফেলা হয়। অনেক চেষ্টা করেও পা আর ভালো হয়নি। ক্রমান্বয়ে তা শুকিয়ে অকেজো হয়ে যায়। এতে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাই।

মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল-১ ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল ইসলাম মামলা দুটি আমলে নিয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এলএ)