সম্মাননা পেয়ে কাঁদলেন আ.লীগ নেতা

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ২২:০৯

এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রনধীর দত্ত। বয়স ৮০ বছর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার ভূমিকা ছিল অপরীসিম। তিনি সব সময় যোদ্ধাদের খোঁজ-খবর নিতেন। তাদের বিভিন্ন রকমের সহযোগিতা করতেন। এছাড়া ৭১ থেকে পটুয়াখারীর কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন।

রবিবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচার সম্পাদক থাকায় তাকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

সম্মাননা ক্রেস্ট হাতে পেয়ে খুশিতে কেদেঁ দিলেন তিনি।

প্রবীন এই নেতা বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের কোন অফিস ছিল না কলাপাড়ায়। সুতাপট্টির আমার দোকানই ছিল আওয়ামী লীগের মিনি অফিস। তখন রাজনীতি সহযোদ্ধা ছিলেন ডা. কাসেম, হাসেম মীর, ইসমাইল তালুকদার, আনোয়ার উল ইসলাম, ননী সেন, রব মিয়া, হাবলু বিশ্বাস, নাজিম মিরা, মাহাতাব মৃধা, খালেক মিরা, মোতালেব খলিফা, জামাল বেপারিসহ আরো অনেকে।

তখন তারা সবাই আমাকে বানিয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সব সভা সমাবেশের সিদ্ধান্ত হতো আমার  দোকান থেকেই।’

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অনেকবার তিনি লাঞ্ছিতসহ মারধরের শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাকে সম্মাননা জানিয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যাবাদ জানাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘৭ মার্চ বঙ্গপিতা নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রত্যেক গ্রামে প্রত্যেক মহল্লায় সংগ্রাম কমিটি গঠন করার। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন ডা. কাসেম ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইসমাইল তালুকদার। তাদের নিয়ে গঠন করে ছিলাম সংগ্রাম কমিটি। ৮০’র দশকে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। ৯০ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য। আজীবন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী বলে গর্ববোধ করি।’

বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন এই প্রবীন আ.লীগ নেতা।

শেষ বয়সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি তার, তিনি যেন মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পান। সবশেষে তিনি মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এলএ)