পা আটকে যায় ওভারব্রিজের ভাঙা সিঁড়িতে

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০৮:৩২

তানিয়া আক্তার

কমলারঙা পরীবাগ ফুট ওভারব্রিজ। সুউচ্চ ও সুসজ্জিত। পথচারীদের পদচারণায় মুখরিত না হলেও ভিক্ষুক আর ভবঘুরেরা কেবল রাতে নয়, দিনেও কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়।

নিয়মিত পরিস্কারের অভাবে ধুলোবালির স্তুপ জমেছে। প্রায় প্রতিটা সিঁড়িতেই ধরেছে মরিচা। একটি সিঁড়িতে বড় ধরনের গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিটা সহজেই বোঝা যায়। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষের কেউ দেখে বলে মনে হয় না।

স্থান নির্বাচন বা সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে এই সেতুটি পথচারীদের তেমন কাজে আসে না। তবে যারা পার হন, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর তারা থাকে কিছুটা ভয়ে। নির্জন সেই ওভারব্রিজ ভয় আর আতঙ্কে দ্রুত পার হতে গিয়ে ভাঙা সিঁড়িগুলো আরো বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।

রাহিলা আফরিন নামে এক পথচারী বলেন, ‘পরিবাগের দিকের ওই পাশের সিঁড়ি দিয়েই উঠি না। কখন সেই মরিচা ধরা গর্তে পা আটকে যায় কে জানে।’
ওভারব্রিজটির নিচ দিয়ে পথচারীরা চোখ মুখ ঢেকে যায়। কারণ, ধুলোবালি বা মরিচা পড়তে পারে মাথায়। এক পথচারী জানান, প্রায়ই এ পথ দিয়ে যেতে হয়। উপরে তাকালে সিঁড়ির গর্ত চোখে পড়লেই ভয় লাগে। সেদিন আমার পাও আটকে গিয়েছিল।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (অঞ্চল) সফিউল্লাহ এ বিষয়ে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন ওভারব্রিজ মেরামতের কাজ শুরু করেছি। আপনার তথ্যে এটি নিয়েও কাজ করব। মরিচা পড়া গর্তের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রাখলাম।’

এই ব্রিজটিকে সাজানো হয়েছিল বেশ দৃষ্টিনন্দন করে। কিন্তু সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য দুই পাশে ফুলে গাছ লাগানো হলেও ব্যানারে ঢেকে গেছে সেগুলো। ফলে রোদের অভাবে কয়েকটি গাছ ইতিমধ্যেই শুকিয়ে গেছে।

ওভারব্রিজটিতে রাতে যৌন কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানেই চলে তাদের কাজ। ব্যবহৃত জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

ওভারব্রিজ দিয়ে সন্তানকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ^বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন শীলা আক্তার। তিনি বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পথে এসব জিনিস সামনে পড়ায় খুব অস্বস্তি লাগছে। আর সামনের লোকজন তো আছেই।’

স্থাপনাটির এই দুরাবস্থার বিষয়ে জানেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম। তার দাবি, মেট্রোরেলের কাজ করার কারণে ধুলোবালি জমে থাকতে পারে।

প্রতি সকালেই ওভারব্রিজটি পরিষ্কার করা হয় বলেও দাবি এই কর্মকর্তার। অস্বস্তিকর দ্রব্য পড়ে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার পর সেখানে অনৈতিক কাজ হয় বলেই হয়তো এমন হয়েছে। সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশদেরকে এ ব্যাপারে সর্তক করতে বলব। পরিছন্নতার ব্যাপারেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

ঢাকাটাইমস/২৫জুন/টিএ/ডব্লিউবি